-
বক্সঅফিসে আয় নেই ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’-এর। প্রযোজক আদিত্য চোপড়া নাকি বেজায় ক্ষেপেছেন অক্ষয় কুমারের ওপর। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, খিলাড়ি কুমার এক্কেবারেই প্রযোজনা সংস্থার নির্দেশ মানেননি। গোঁফ বড় করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু একসঙ্গে একাধিক ছবি করতে গিয়ে অক্ষয় গোঁফ রাখতে পারেননি। অতঃপর প্রযোজনা সংস্থা চোখ রাঙিয়ে বলেছে- ‘একগাদা ছবিতে অভিনয় না করে, একটায় নিজের সেরাটা দিলেই তো হয়…।’ ২০০-৩০০ কোটি খরচা করে ‘পৃথ্বীরাজ’ এখনও ১০০ কোটি ঘরে তুলতে পারেনি।
-
বলিউডের অন্যতম সুপারস্টার রণবীর সিং। যে ছবিতেই হাত দেন, সেটাতেই সোনা ফলেছে এযাবৎকাল। বিশেষ করে বনশালির সঙ্গে জুটি বেঁধে পরপর বহু হিট উপহার দিয়েছেন। কিন্তু অতিমারী উত্তর পর্বে রণবীরের বক্সঅফিস মার্কসিটে নম্বর একেবারে কম!
-
কবীর খানের ফ্রেমে ‘৮৩’ তো বটেই, পাশাপাশি কন্যাভ্রুণ-হত্যা বিরোধীর মতো সচেতনতার বার্তা দেওয়া ‘জয়েশভাই জোরদার’-ও বক্সঅফিসে জোর খাটাতে পারেনি। উল্লেখ্য, ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ ও ‘জয়েশভাই জোরদার’ এই দুই সিনেমাই যশ রাজ প্রযোজনা সংস্থার। অতঃপর রণবীর-অক্ষয়দের ছবির জন্য প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার মাথায় যে হাত পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
-
‘রানওয়ে ৩৪’ নিয়ে বেজায় আশাবাদী ছিলেন অজয় দেবগণ। কাস্টিংও তুখড়। অজয়, অমিতাভ বচ্চনের মতো সুপারস্টাররা। কিন্তু বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০ কোটি টাকা করেই ‘রানওয়ে ৩৪’-এ মুখ থুবড়ে পড়েন অজয়।
-
ওদিকে, করোনার জেরে একাধিকবার রিলিজ পিছানোর পর শেষমেশ মুক্তি পায় শাহিদ কাপুরের ‘জার্সি’। উপরন্তু বছর খানেক বাদে পর্দায় ‘কবীর সিং’ শাহিদ। এক ব্যর্থ ক্রিকেটারের গল্প। সিনেম্যাটিক অ্যাপ্রোচ ভাল হলেও দর্শকদের মন মজেনি। অতঃপর ২৭.৯ কোটি আয় করেই প্রেক্ষাগৃহ থেকে বিদায় নিয়েছে ‘জার্সি’।
-
‘হিরোপন্তি ২’ নিয়েও বিস্তর শোরগোল হয়েছিল। একে টাইগার শ্রফের তুখড় থ্রিলার-অ্যাকশন, উপরন্তু রূপান্তরকাম সাইকো কিলারের চরিত্রে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। কিন্তু রিলিজের পরই মুখ থুবড়ে পরে। সিনেমা তৈরির মোট খরচও তুলতে পারেনি।
-
‘ধাকড়’ নিয়ে খুব আশাবাদী ছিলেন কঙ্গনা রানাউত। তবে ৮৫ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি ‘ধাকড়’ আয় করতে পেরেছে মোটে ২.৫৮ কোটি টাকা। বক্স অফিস রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সিনেমার জন্য মোট ৭৮ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে প্রযোজক কঙ্গনা রানাউতের।
