ছোট্ট একটা একটা গ্রাম। সবুজে ঘেরা চারপাশ। গ্রামের ভিতরে আঁকাবাঁকা রাস্তা। সব মিলিয়ে দেড়শ পরিবারের বাস। এর মধ্যে রয়েছেন সব সম্প্রদায়ের মানুষ। আটটি পরিবার বাদে প্রত্যেকেই দরিদ্র ও নিম্নবর্গের অন্তর্ভুক্ত। শান্তিনিকেতন থেকে দূরত্ব মাত্র ১২৩ কিমি। অজয় নদ ও গড় জঙ্গলে ঘেরা ছবির মত গ্রামটির নাম 'সাতকাহনিয়া'। গ্রামের বাসিন্দারা সবাই নাট্যকর্মী। একসঙ্গে থাকা, একসঙ্গে নাটক করা, একসঙ্গে রোজগার করা।
কেউ কেউ কলেজে পা রেখেছিলেন। কারও কারও আবার ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা হয়নি। অধিকাংশই কৃষক পরিবারের সন্তান। এখানে নাটকই তাঁদের জীবনযাপনের প্রধান মাধ্যম। নাটক তাঁদের বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। নিজেরা জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করে ছোট ছোট মাটির ঘর তৈরি করে নিয়েছেন, লাগিয়েছেন গাছ। মাটি কেটে তৈরি হয়েছে পুকুর। নাটককে সম্বল করে কি দারুণ বেঁচে থাকা এই গ্রামের মানুষের। আসুন দেখে নেওয়া যাক তাঁদেরই জীবনযাত্রার কিছু ছবি।
[caption id="attachment_218" align="aligncenter" width="600"]
এখানে প্রায় আড়াই বিঘা জমির উপর গড়ে উঠছে এই বিকল্প সংস্কৃতি চর্চার এই আদর্শ কেন্দ্র। মাঝেই রয়েছে চারিদিক খোলা মাথায় টিনের ছাউনি দেওয়া মাটিলেপা মঞ্চ। ছবি- শশী ঘোষ[/caption]
[caption id="attachment_220" align="aligncenter" width="600"]
এই গ্রামের নামের মধ্যেই যেন লুকিয়ে আছে কত কাহিনী।[/caption]
[caption id="attachment_221" align="aligncenter" width="600"]
নিশ্চিতভাবেই সাতটি কাহিনী লুকিয়ে আছে গ্রামের নামে। নাম শুনে তো তাই মনে হয়। কাহিনী সাত নয়। ঢুঁ মারলে সাতশো মিলতে পারে।[/caption]
[caption id="attachment_223" align="aligncenter" width="600"]
মূলত সাতকাহন থেকেই এসেছে এই গ্রামের নাম সাতকাহানিয়া।[/caption]
[caption id="attachment_225" align="aligncenter" width="600"]
যুগ যুগ ধরে সব তাঁতি, কুমোর, কামার, পুরোহিত সব পেশার মানুষের ভিড়ে সমৃদ্ধ এক জনপদ সাতকাহনিয়া। এখানেই গড়ে উঠছে তেপান্তর।[/caption]