‘মহানায়ক’ হওয়া মুখের কথা নয়! ওরকম ভুবন ভোলানো হাসি, চোখের চাহনি.. উত্তম কুমার ছাড়া আজও বাংলা সিনেইন্ডাস্ট্রি সেরকম কাউকে আবিষ্কার করতে পারেনি। বরং সেই মহানায়ক-এর বেশে পর্দায় নিজের তুলে ধরার সাহস দেখিয়েছেন টলিপাড়ার অনেক অভিনেতাই। টলিউডের অন্দরে মহানায়ক হয়ে ওঠার সুপ্ত বাসনা অনেকের মধ্যেই রয়েছে।এদেশ তো বটেই বাংলাদেশের নায়ক আলমগীর পর্যন্ত বলেছিলেন, ‘মহানায়ক খেতাব শুধু সম্রাটের মাথায় মানায়, আর সিনে জগতের সেই সম্রাট উত্তম কুমার।’ আজ সেই কিংবদন্তীর জন্মদিন। পর্দায় উত্তম কুমারের ভূমিকায় কারা অভিনয় করেছেন জানেন? দেখে নিন একনজরে।
-
মহানায়কের চরিত্রে টেলি পর্দায় ঝড় তুলেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। উত্তম কুমারের জীবনীর ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল ‘মহানায়ক’ ধারাবাহিক। তার সিনে ক্যারিয়ার থেকে পারিবারিক সম্পর্ক-সবমিলিয়ে জমজমাট হয়ে ওঠে এই ধারাবাহিক। উত্তম জেঠুকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা একেবারেই সহজ কাজ ছিল না বুম্বার পক্ষে। তাও চেষ্টায় খামতি রাখেননি তিনি।
-
সৌমিক সেনের ‘মহালয়া’ ছবিতে উত্তম কুমারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যিশু সেনগুপ্ত। বাঙালির আবেগ মহালয়া। বীরেন বাবুর আওয়াজ ছাড়া যেন পুজো শুরু হয়না। অথচ একদিন এই মহালয়া রেকর্ড করেছিলেন উত্তম কুমার। সেই নিয়েই সিনেমা। ছবির পরিচালক জানিয়েছিলেন যিশুর সঙ্গে চেহারায় একটু হলেও মিল রয়েছে মহানায়কের-আর তাছাড়াও একজন স্টারই পারে আরেকজন সুপারস্টারের ভূমিকায় অভিনয় করতে।
-
মহানায়ক হিসেবে স্ক্রিনে দেখা গিয়েছিল অভিনেতা সুজন মুখোপাধ্যায়কে। টেলিভিশনে নীল নামেই পরিচিত তিনি। ‘যেতে নাহি দিব’ ডকু ফিচারে অভিনয় করেছিলেন তিনি। চুলের স্টাইল থেকে পরনের সাদা পাঞ্জাবি, উত্তম হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দিব্য। তবে মহানায়ক হয়ে ওঠা একেবারেই সহজ নয়। সুজন জানিয়েছিলেন, উত্তম কুমার হওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। কিন্তু আমি চরিত্রের উপস্থাপনায় খামতি রাখব না।
-
অতনু বসুর ‘অচেনা উত্তম’ এখন হটকেক। এই ছবিতে মহানায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। তার পাওয়া না পাওয়ার গল্প, প্রেম ভালবাসা, সিনেমা থেকে শুরু করে দাম্পত্য কলহ সব নিয়েই এক অচেনা উত্তমকে দেখতে পাবে মানুষ। যেখানে শুধু স্টারডম নয় বরং অভিনেতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা একটি মানুষকে দেখতে পাবে দর্শক।
-
অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে মহানায়কের নাতি অভিনয় করেছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘অতি উত্তম’ ছবিতে। একজন উত্তম গবেষকের ওপর নির্মিত এই ছবি। ছবির মূল গল্পের নেপথ্যে রয়েছে গৌরবের চরিত্র। হাজার গবেষণা করে এই সিনেমা বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সৃজিত।