তিনি 'রাইকিশোরী'। তাঁর কণ্ঠে কীর্তন যেন আলাদা মাত্রা পায়। এই ধারার সঙ্গীতে অদিতির মুন্সিয়ানা বারে বারে ভক্তি রসে বুঁদ করেছে অগণিত শ্রোতাকে। সেই 'রাইকিশোরী'র নিজের বাড়িতেই আজ ছোট্ট মানুষটাকে নিয়ে বড় উদযাপন। কীভাবে হচ্ছে যাবতীয় আয়োজন? কীর্তনের সঙ্গে কণ্ঠি বদল তো হয়ে গিয়েছে, এখন কেমন চলছে ঘর-সংসার? এসব বিষয় নিয়েই দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র মুখোমুখি অদিতি মুন্সি।
রাইকিশোরীর কাছে জন্মাষ্টমী কতটা বিশেষ?
বিশেষ দিন বটেই। আনন্দের দিন। উৎসবের দিন। আজ তো ছোট্ট মানুষটার জন্মদিন। বাড়িতে ছোট মানুষ থাকলে যা হয়। বাড়ি সাজানো গোছানো থাকে।
কীর্তন কীভাবে তোমাকে আকৃষ্ট করল?
কীভাবে করেছিল সত্যি বলতে পারব না। কীর্তনের সঙ্গে যখন পরিচয় হয়, তখন নাম হিসেবে পরিচয় হয়নি। গানের সঙ্গে ধরণ জানতে পারি। যেকোনো গানের নিজের সত্ত্বা থাকে, আমার বিশ্বাস। আসতে আসতে তার সঙ্গে পরিচয় ঘটে। আমি একজন ব্যক্তিকে খুঁজে পাই। একটা ভালোবাসা খুঁজে পাচ্ছি। অন্য অনুভূতি ও টান খুঁজে পাই। তারপর আর কিছু ভাবিনি। এরপর জানার, শেখার ইচ্ছা বেড়ে যায়। এরপর থেকেই কীর্তনটা করে চলেছি।
কীর্তন তোমাকে বিশেষ সম্মান দিয়েছে...
বিশেষ সম্মান বলতে, মানুষের থেকে যে ভালবাসা পেয়েছি। তার বাইরে আর কিছু হয় না। মানুষের ভালবাসার থেকে বড় অ্যাওয়ার্ড আর কিছু হয় না। যদি পূর্ব জন্ম থেকে থাকে তাহলে আমি মনে করি, সেই জন্মে হয়ত ভাল কিছু করেছি যার ফলে আমি এত ভালবাসা, সম্মান, আশীর্বাদ পাওয়ার মত পর্যায়ে পৌঁছেছি।
কিন্তু, অন্য ধরনের গান তোমাকে দিয়ে কেই কি গাওয়াতে চাইবে? মনে হয় না যে তুমি কীর্তনে 'টাইপ কাস্ট' হয়ে গিয়েছ?
একদমই না। আমি আমার দিক থেকে বিশ্বাস করি, সঙ্গীত একটা বড় বিশ্ব। বিশ্বে যেমন কোথায় কী আছে, সব দেখা কখনই সম্ভব নয়। ঠিক সেরকম গানের বিশ্বে, কীর্তনের বিশ্বে, সবটা শেখা আমার হয়নি। আমি এখনও শিখছি, জানছি। তাই সীমাবদ্ধতা মনে হয় না। আমি খুব খুশি। আমি যদি এটা নিয়েই থাকতে পারি, ঠিকঠাক করে গাইতে পারি, আমি তাতেই খুশি।
ছোট থেকেই বাড়িতে গানের পরিবেশ ছিল?
হ্যাঁ, একদম ছোটবেলা থেকে। আমার বাবা-মা দুজনেই গানপ্রেমী। আমি যখন ছোটবেলায় গান করতাম, আমর ভুল ধরিয়ে দিতেন বাবা। সেই মতো অনুশীলন করতাম। আমাকে গান শেখাতে আসতেন স্নেহাশিস চট্টোপাধ্যায়। তিনি আমার বাবাকে 'কানসেন' বলতেন।
এখন তো বিয়ে হয়ে গিয়েছে, রেওয়াজের সময় বাবার এই ভুল ধরিয়ে দেওয়াটা মিস করেন?
সে আর বলতে। তবে আমার বাড়ি ও শ্বশুড় বাড়ি খুবই কাছাকাছি। নতুন গান তুললেই বাবাকে শুনিয়ে আসি।
জন্মষ্টমীতে রাইকিশোরীর কী প্ল্যান?
বাড়িতে পুজো হয়। ছোট সদস্যদের নিয়েই দিন কাটে।
শ্বশুড় বাড়িকে কতটা পাশে পেয়েছেন?
সব সময় তাঁদের পাশে পাই। আগে প্রোগ্রাম করতে যখন যেতাম, মা সঙ্গে থাকতেন, এখন শাশুড়িও থাকেন। তিনি সব সময় আমায় বলেন, তোমার গান নিয়ে তুমি এগিয়ে যাও।
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন