করণ জোহরের চ্যাট শো কফি উইথ করণ-এ এসে অনন্যা বলেছিলেন, তাঁর বাবাকে কখনও এই শোয়ে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এরপরই বিতর্কে জড়ান চাঙ্কি কন্যা। অনন্যা বলেছিলেন, তাঁর জন্মের সময় চাঙ্কি পাণ্ডের কেরিয়ার গ্রাফ ছিল একেবারে নিম্নমুখী। উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই পরিস্থিতি থেকেই জয়-পরাজয়ের শিক্ষা নিয়েছেন অনন্যা পাণ্ডে।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন অনন্যা পাণ্ডে। সেখানে আরও একবার তাঁর মুখে শোনা গেল চাঙ্কি পাণ্ডের কেরিয়ারের উত্থান-পতনের কাহিনি।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন অনন্যা পাণ্ডে। সেখানে আরও একবার তাঁর মুখে শোনা গেল চাঙ্কি পাণ্ডের কেরিয়ারের উত্থান-পতনের কাহিনি।
অভিনেত্রী বলেন, 'আমার জন্মের সময় বাবার কেরিয়ারের অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। আট ও নয়ের দশকের অন্যতম সফল অভিনেতা ছিলেন। কিন্তু, এরপর অন্য কাজ করা শুরু করেন। সেই সময় দীর্ঘদিন সিনেমায় কাজ পাননি। আমি বাবাকে ঘরে বসে থাকতে দেখেছি। ছোটবেলায়দু-একবার শ্যুটিং সেটে গিয়েছিলাম। সেই সময় দেখেছি বাবা যে ভীষণ ব্যস্ত বা অনেক কাজ করছেন তা নয়। বাড়ির বাইরে বাবাকে দেখার জন্য লোককে ভিড় জমাতে দেখেনি। ছোট থেকে এমন দৃশ্য দেখে বড় হয়নি।'
অভিনেত্রী বলেন, 'আমার জন্মের সময় বাবার কেরিয়ারের অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। আট ও নয়ের দশকের অন্যতম সফল অভিনেতা ছিলেন। কিন্তু, এরপর অন্য কাজ করা শুরু করেন। সেই সময় দীর্ঘদিন সিনেমায় কাজ পাননি। আমি বাবাকে ঘরে বসে থাকতে দেখেছি। ছোটবেলায়দু-একবার শ্যুটিং সেটে গিয়েছিলাম। সেই সময় দেখেছি বাবা যে ভীষণ ব্যস্ত বা অনেক কাজ করছেন তা নয়। বাড়ির বাইরে বাবাকে দেখার জন্য লোককে ভিড় জমাতে দেখেনি। ছোট থেকে এমন দৃশ্য দেখে বড় হয়নি।'
অনন্যার সংযোজন, 'বাবার কিছু জিনিস আমার ভাল লাগে। আমার বাবা বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন একজন মানুষ। সবরকমের চরিত্রে বাবা কাজ করেছেন। মুখ্য চরিত্র থেকে পার্শ্বচরিত্র বা ছোট কোনো চরিত্রেও স্বচ্ছন্দে কাজ করেছেন। এমনকী নেগেটিভ চরিত্রেও কাজ করতে বাবার কোনও আপত্তি ছিল না। প্রায় অনেকগুলো ভাষার ছবিতে কাজ করেছেন। নিজেকে বদলানোর একটা অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে বাবার, যেটা আমার কাছে অনুপ্রেরণাদায়ক।'
বাবার থেকে সিনেমা সম্বন্ধে কী পরামর্শ নেন অনন্যা? চাঙ্কি পাণ্ডে অনেক ধরনের অভিনয় শিক্ষার প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। তাই তাঁর মতে বাণিজ্যিক ছবিই সবচেয়ে বেশি দর্শককে হলমুখী করতে পারে।
অনন্যার মতে, 'আমাদের প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা সবরকমের চরিত্রে কাজ করতে আগ্রহী থাকে। এই জায়গাটায় বাবার সঙ্গে আমার মতের মিল হয় না। বাবা আমাকে সেই ধরনের ছবিতে দেখতে চান যেগুলো পুরোপুরি বড় বাজেটের বাণিজ্যিক ছবি। একসময় যে ধরনের কাজ বাবা করতেন।'
কিন্তু, সেটা আবার অনন্যা পুরোপুরি মেনে নিতে পারেন না। এই বিষয়ে তাঁর দাবি, 'আমি এক্ষেত্রে বাবার সঙ্গে একমত হতে পারি না। আমার মতে ছোট ছবিতে বড় চরিত্রে কাজ করব না হলে বড় ছবিতে ছোট চরিত্রে। এখন অবশ্য বাবার দৃষ্টিভঙ্গিও কিছুটা বদলেছে।'
অভিনেত্রী জানান, কমেডি মুভি Call Me Bae-তে অনন্যার অভিনয়ের প্রশংসা করেছিলেন তাঁর বাবা। এরপর থেকেই চিনি বলেন, 'কেরিয়ারের বিষয়ে আমি পরামর্শ দেব না। যদি ওটিটি-তেও শো কর তাহলে খেয়াল রেখো দর্শক যেন তোমাকে ভালবাসে। যেটা তুমি মন থেকে করতে চাও সেটাই কর।'