New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/cover-hrisdpindo.jpg)
অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় ও সাহেব চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন ছবির প্রধান চরিত্রে।
অরুণাচল প্রদেশের দিবাং ভ্যালি। সেখানকার মিশমি সম্প্রদায়ের সঙ্গেই কিছুদিন একাত্ম হয়ে গেলেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গ দিলেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়। আসলে শিলাদিত্য মৌলিকের ছবি হৃৎপিণ্ড। তারই শুটিং চলছিল অরুণাচলের একটি গ্রামে। অর্পিতার চরিত্রের নাম আর্যা। সায়েন্স কলেজের এই শিক্ষিকা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু বয়সন্ধিতে তা যখন ফিরে পান তখনই মোড় ঘুরে যায় ছবির। এক্কেবারে ছাপোষা মধ্যবিত্ত গল্প বলে প্রথম ছবিতেই ছক্কা হাঁকিয়েছিল শিলাদিত্য মৌলিক। পরের ছবিতে অন্য ধরনের গল্প বলার জন্য তৈরি তিনি। হৃদয় দিয়ে সমস্ত অনুভূতি ছোঁয়া গেলেও আসল কারিগরী কিন্তু মস্তিষ্কের। অথচ হৃৎপিণ্ড শব্দটির সঙ্গে আবেগের থেকে বেশি মিল যুক্তি ও চিকিৎসা ব্যবস্থার। ছবিতে দু'ধরনের লুকে দেখা যাবে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে। প্রথমে অধ্যাপিকার চরিত্রে, পরিণত লুকে। অন্যটিতে, বয়সন্ধিতে ফিরে যাওয়া কিশোরীর চরিত্রে। দুটো চরিত্রেই অর্পিতাকে মানানসই করে তুলেছেন অনিরুদ্ধ চাকলাদার। ছবির ঘোষণার সময়ই জানানো হয়েছিল, অরুণাচল ও কলকাতায় হবে শুটিং। তবে অরুণাচলে টিম হৃৎপিণ্ড-র আউটডোর ডায়েরি কিন্তু নজর কেড়েছে। ঠাণ্ডায় জমে গিয়েও শুটিং শেষ করতে খামতি রাখেননি তারা। ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করে অর্পিতা লিখেছিলেন, ''হৃদয় কাড়া অরুণাচলে কিছু মূহুর্ত বন্দী''। অর্পিতা-সাহেব ছাড়াও ছবিতে দেখা যাবে অনন্যা সেনগুপ্ত, অনুভব কাঞ্জিলাল, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর মতো শিল্পীদের। অরুণাচলে শুটিংয়ের ফাঁকে গভীর আলোচনায় ব্যস্ত পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক, অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায় ও প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু গ্রামে গিয়ে শুটিং করেছেন, আনন্দ করেছেন তা কিন্তু নয়। ছবির প্রয়োজনে যে গ্রাম দেখানো হয়েছে সেখানে রয়েছে মিশমি উপজাতি। সুতরাং, তাদের সংস্কৃতি, আদব-কায়দা এমনকী নাচের ধরণও আয়ত্ত করতে হয়েছে অভিনেত্রীকে।