-
বর্তমানে ‘দ্য সিগনেচার’ ছবিতে কাজ করছেন মহিমা চৌধুরি। তার মাঝেই সম্প্রতি অনুরাগীদের দুঃসংবাদ দেন ‘পরদেশ’ অভিনেত্রী। জানান, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। এই কঠিন সময়ে মহিমা পাশে পেয়েছেন অনুপম খেরকে। তিনি বলেন, “আমার ক্যানসার ট্রিটমেন্ট শুরু হওয়ার পর যথারীতি সব চুল উঠে যায় এবং সেই সময় থেকেই অজস্র ওয়েব সিরিজ, নানা ওটিটি প্রজেক্টের সুযোগ আসছে আমার কাছে। আর আমিও চুল উঠে যাওয়ার কারণে সব অফার ফেরাতে থাকি। কিন্তু অনুপম একেবারেই বন্ধুর মত পাশে দাঁড়ায়। আমি ওঁকে বলি যে চুল উঠে গেছে আমার, আমি উইগ পড়ে কাজ করব। তবে এককথায় না করে দেয়।”
-
২০১২ সালে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে মণীষা কৈরালার। যতক্ষণ না অভিনেত্রীর খুব দুর্বল বোধ করেন এবং তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে কাঠমান্ডুর একটি হাসপাতালে যান, ততদিন তিনি বুঝতেই পারেননি যে তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে কর্কট রোগ। এরপর তাঁকে চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তখনও তাঁর ক্যানসারের খবর প্রকাশ করা হয়নি। তখন নিউইয়র্কের এক হাসপাতালেই কয়েক মাস ধরে কেমোথেরাপি চলেছিল। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে এবং যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পর তিনি বতর্মানে সক্রিয়ভাবে ক্যানসার-সচেতনতার বার্তা দেন।
-
২০১৮ সালে সোনালীর ক্যান্সারাক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে গোটা বলিউডের মাথায় যেন বাজ পড়েছিল! মেটাস্ট্যাটিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্ক সিটির একটি হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিনেত্রী। এই সময়ে পাশে পেয়েছেন স্বামী গোল্ডি বহেলকে। নিউইয়র্কের হাসপাতালে সোনালীকে বলা হয়েছিল যে, এটা ক্যান্সারের চতুর্থ পর্যায় এবং তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ৩০ শতাংশ। যা শোনার পর গোটা রাত ধরে কেঁদেছিলেন বলিউড নায়িকা। কিন্তু জীবনে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে ক্যান্সার-যুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করে।
-
বলিউডে মাত্র কয়েকটা ছবি। দীপা মেহেতার ‘ওয়াটার’ সিনেমায় অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তবে মডেল হিসেবে বেজায় সফল লিজা। ২০০৯ সালে তাঁর শরীরে কামড় বসায় ক্যান্সার। ডাক্তারি পরিভাষায় যার নাম মাল্টিপল মায়লোমা। অস্থি মজ্জার রক্তরস কোষের একটি ক্যান্সার। যা কিনা বিরল। ২০১০ সালে প্লাজমা ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে সেরে ওঠেন মডেল-অভিনেত্রী। তবে ক্যান্সার তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। এখন দুই সন্তানের মা লিজা। প্রতিনিয়ত ক্যানসার যোদ্ধাদের সাহস যুগিয়ে চলেছেন নিজের ব্লগ ‘দ্য ইয়েলো ডায়েরি’র মাধ্যমে।
-
স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন আয়ুষ্মান খুরানার স্ত্রী তাহিরা কাশ্যপও। ১২টা কেমোথেরাপি চলে তাঁর। তবে এই মারণরোগ দমিয়া রাখতে পারেনি তাঁকে। বরং চুল পড়া ন্যাড়া মাথা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি যেসব ছবি পোস্ট করতেন, তা রীতিমতো দাবানল গতিতে ভাইরালর হত। স্ত্রীয়ের এই সাহসকে বাহবা দিয়েছেন আয়ুষ্মান নিজেও। আপাতত ক্যান্সার-মুক্ত হয়ে ছবি পরিচালনায় নেমেছেন তাহিরা কাশ্যপ। এমনকী লিখে ফেলেছেন আস্ত একটা বইও।
-
কর্কট রোগ বাসা বেঁধেছিল প্রবীণ বলিউড অভিনেত্রী মুমতাজের শরীরেও। তখন তাঁর ৫৪ বছর বয়স। ৬টা কেমোথেরাপি ও ৩৫বার রেডিয়েশনের পর মুমতাজ ক্যানসার জয় করতে সক্ষম হন। এপ্রসঙ্গে তিনি একবার বলেছিলেন, আমি সহজে হাল ছেড়ে দিইনি। তারপর থেকেই ক্যান্সার সচেতনমূলক বার্তা প্রচার করেন অভিনেত্রী। ২০১০ সালে এক তথ্যচিত্রে দেখাও গিয়েছিল তাঁকে।
