নিজের দক্ষতায় টলিউডে নজর কেড়েছেন অনেক আগেই। কিন্তু তবুও আজও দেবলীনা কুমারের (Devlina Kumar) পরিচয় মাত্র 'বিধায়কের মেয়ে' এবং 'মহানায়কের নাত-বউ' বলে! অতঃপর ট্রোল, কটাক্ষও নিত্যদিনের সঙ্গী তাঁর।
কিন্তু নিন্দুকদের পরোয়া মোটেই করেন না দেবলীনা। বরং, নিজের শর্তে বাঁচতে ভালবাসেন।
তারকাসন্তান কিংবা তাঁদের স্বজনদের দিকে নেটজনতাদের আতসকাঁচ সর্বদাই প্রস্তুত থাকে। কাজেই, চুন থেকে পান খসলে উপায় নেই। নেটদুনিয়ার নীতিপুলিশরা অমনি রে-রে করে ওঠেন।
দেবলীনা কুমারের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি! তিনি মহানায়কের নাত-বউ বলে কথা। কাজেই নেটজনতারা তাঁকে ট্র্যাডিশনাল লুকে দেখবেন বলেই আশা করেন, কিন্তু সেই পরিচয়ের বাইরেও গিয়ে দেবলীনা নিজে একজন অভিনেত্রী। অতঃপর নিজস্ব পোশাক-আসাক, ফ্যাশন স্টেটমেন্ট নিয়ে সবসময়েই তটস্থ থাকেন। কিন্তু অভিনেত্রীকে পশ্চিমী লুকে দেখলেই নেটজনতার একাংশ হইচই শুরু করেন।
নানা মুনির নানা কথা- মহানায়কের নাত-বউ শাড়ি ছাড়া অন্য পোশাক কেন পরবেন? গৌরবের দ্বিতীয় বিয়ের মেয়াদ কত? এহেন নানা কু-কথা শুনতে হয় দেবলীনাকে।
সেই প্রেক্ষিতেই দেবলীনার সাফ উত্তর, "উত্তম কুমারের (Uttam Kumar) নাত-বউ বলে কি শুধু শাড়ি পরতে হবে?"
তাছাড়া, দেবলীনার বাবা দেবাশিষ কুমার (Debashish Kumar) বিধায়ক তথা তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা হওয়ায়, অনেকেরই ধারণা তাঁকে কোনওরকম পরিশ্রমই করতে হয়নি ইন্ডাস্ট্রিতে পাড়ি জমানোর জন্য!
এপ্রসঙ্গে অভিনেত্রীর সাফ কথা, "কিছু মানুষ নিজেদের প্রোফাইল লক করে, তার আড়ালে লুকিয়ে ট্রোল করতে ভালবাসেন। দেবাশিস কুমারের মেয়ে কিংবা উত্তম কুমারের নাত-বউ পরিচয়টাকে খুব নেতিবাচকভাবে তুলে ধরেন তাঁরা।"
উল্লেখ্য, দেবলীনা কিন্তু এসব ট্রোল, কটাক্ষ, সমালোচনা পাত্তা না দিয়ে নিজের নাচের স্কুল, অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত।