‘দুর্গা দুর্গেশ্বরী’ ধারাবাহিকে এসেছে একটি ‘টাইম লিপ’। কেটে গিয়েছে ২২ বছর। তারপরই গল্পে নয়া মোড়, এন্ট্রি হয় দূগ্গা-ওমের একমাত্র মেয়ে দেবী, অর্থাৎ অদ্রিজা রায়ের। ২৭ টি এপিসোড সম্প্রচারিত হয়েছে। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অদ্রিজা। এই অদ্রিজারই কাকাও রয়েছেন একই পেশায়, অর্থাৎ অভিনয়ে। আর তিনিও বেশ জনপ্রিয় মুখ।
লকডাউন শুরু হওয়ার আগে অদ্রিজা রায়কে দর্শক দেখেছেন কালারস বাংলা-র ‘মঙ্গলচণ্ডী’ ধারাবাহিকের নায়িকার ভূমিকায়। লকডাউনের মধ্যেই ধারাবাহিকটি অসমাপ্ত অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায়। নেট নাগরিকদের কাছে যে তিনি বেশ পছন্দের তা ইনস্টাগ্রামের ফলোয়ার্স দেখলেই বোঝা যায়।
রাজ চক্রবর্তীর 'পরিনীতা' ছবিতে শুভশ্রীর বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অদ্রিজা। গত তিন চার বছরে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজস্ব একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছে ‘দুর্গা দুর্গেশ্বরী'র দেবী।
'পটল কুমার গানওয়ালা' সিরিয়ালে যখন পটলের সইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন, তখন অদ্রিজা নাবালিকা।
ঘুরতে ভালবাসেন অদ্রিজা। একই বছরে বন্ধুদের সঙ্গে সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ড ঘুরে এসেছেন অভিনেত্রী।
কী ভাবে যাত্রা শুরু অভিনেত্রীর? অদ্রিজার মুখে শোনা গিয়েছে, বাবা-মা দু’জনেই চাকরি করতেন। বাড়িতে অনেকটা সময় দুই কাকা এবং ঠাকুমার সঙ্গে ছোটবেলা কাটিয়েছেন অদ্রিজা। আর এখান থেকেই অভিনয়ের যাত্রা কাকার হাত ধরে...
অদ্রিজার ছোট কাকা অভিনেতা আদিত্য রায়। বাংলা ছবি ও টেলিভশনে জনপ্রিয় মুখ আদিত্যও। জানা যায়, তাঁর উদ্যোগেই অভিনয় জগতে পা রাখেন ভাইঝি অদ্রিজা।
অদ্রিজা অ্যাথলিটও ছিলেন ৷ রান আর লং জাম্পে রাজ্যস্তরে অংশ নিয়েছিলেন বলেও জানা যায় ৷ কিন্তু মাধ্যমিকের সময় পড়াশোনার চাপে আর তা চালিয়ে যাওয়া হয়ে ওঠেনি।