New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/09/swastika-759.jpg)
ঋতুমতী, বৃহন্নলা, শ্যামলা মেয়ে- দুর্গার অনেক রূপ। এবার সেই সমস্ত রূপের আড়ালে সমাজের দ্বিচারিতা সামনে আনলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তাঁর পুজোর ফোটোসিরিজে নারীদের না বলা কথা সামনে এল। দুর্গা কে? যাঁর কাছে আমরা শ্রদ্ধায় মাথা নত করি! নাকি যাতে প্রতিনিয়ত শোষণ করি। সমাজের জাঁতাকলে পিষে চলি! রূপান্তরকামী, সমকামী, পতিতা এবং গৃহবধূ-প্রত্যেককে কি সমান চোখে দেখি? তাদের প্রাপ্য সম্মান দিই? এই প্রশ্নগুলোই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চেয়েছেন অভিনেত্রী। যাদের আঙিনার মাটি ছাড়া দুর্গার মূর্তি তৈরি তৈরি হয়না, তারাই সমাজে ব্রাত্য। উৎসবের রশনাইয়ে কোথায় যেন হারিয়ে যায় তারা। তাই এবারের সিঁদুর খেলার গন্তব্য হোক না সোনাগাছি। স্বস্তিকা বলেছেন, ''ছোট থেকে মেয়েবেলা উদযাপন করতে চেয়েছি। সারাজীবন মাকে দেখেছি নিজের জন্য এমনকী অপরের জন্য প্রতিবাদ করতে। আমি তো তাঁরই মেয়ে। যদিও আমার জার্নিটা সহজ ছিলনা তবু পথ চলেছি। জানি মেয়েদের জন্য সমাজটা সরল নয়। তাই পুজোয় মেয়েদের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে চেয়েছি।'' জন্মের পর ছেলে-মেয়ের আলাদা পোশাক নির্বাচন কে করে? কে শাড়ি পড়বে আর কে প্যান্ট-শার্ট তার সিদ্ধান্ত কে নেবে? সমানাধিকারের লড়াইয়ে এই দ্বিচারিতা কেন? সৌরদীপ ঘোষের ফ্রেমে এই কথাগুলোই সোচ্চারে বলেছেন স্বস্তিকা। কালো মেয়ের বিয়ে হয়না। সবাই ফরসা মেয়ে চায়। পাত্রী চাই-এর বিজ্ঞাপনে পুরুষদের নানাবিধ চাহিদা। সব মেটাতে হয় কেবল মেয়েদের। কিন্তু মেয়েরাই নাকি শক্তির প্রতীক তাহলে কেন এই উল্টো ছবি।