/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/04/0AFOzJKvbiDOLYeUz5Sq.jpg)
Manoj Kumar passed away: প্রয়াত মনোজ কুমার।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/04/DKzFJKmz0xJcO6gwJPxy.jpg)
ভারতীয় সিনেমার মহান অভিনেতা, পরিচালক ও লেখক মনোজ কুমার আর আমাদের মাঝে নেই। তিনি আজ, ৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ৮৭ বছর বয়সে মারা যান। দীর্ঘস্থায়ী হৃদরোগ এবং লিভার সিরোসিসের কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/04/0cVOIAcSnD0HWuA6kAf4.jpg)
মনোজ কুমার ২৪ জুলাই ১৯৩৭ সালে অ্যাবোটাবাদ, ব্রিটিশ ভারতে (বর্তমানে পাকিস্তানে) জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের পর তাঁর পরিবার চলে আসে দিল্লিতে। তিনি হিন্দু কলেজ থেকে স্নাতকতা সম্পন্ন করেন।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/04/L79YZ4xTKF8iX1n7E6M3.jpg)
মনোজ কুমারের আসল নাম হরিকিশান গিরি গোস্বামী। তিনি শুধু একজন মহান অভিনেতাই ছিলেন না, তিনি তাঁর দেশপ্রেমিক সিনেমার জন্যও পরিচিত ছিলেন। এই কারণেই মানুষ তাঁকে 'ভারত কুমার' বলে ডাকতে শুরু করে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/04/ADNAgTMZcYtzdutypnP0.jpg)
দিলীপ কুমারের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে নাম হল 'মনোজ কুমার'
মনোজ কুমার দিলীপ কুমার, অশোক কুমার এবং কামিনী কৌশল দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত ছিলেন। মনোজ কুমার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তিনি দিলীপ কুমারের ১৯৪৯ সালের ছবি 'শবনম' দেখেছিলেন।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/04/UtyLLGyhkuDFwStYTp2A.jpg)
সেই ছবিতে দিলীপ কুমারের চরিত্রের নাম ছিল 'মনোজ কুমার'। হরিকিশান শুধু সেই ছবিই পছন্দ করেননি, সেই নামের সঙ্গে এতটাই সংযুক্ত হয়েছিলেন যে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে যখনই তিনি সিনেমায় উপস্থিত হবেন, তাঁর নাম হবে 'মনোজ কুমার'।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/04/zu8yXnH7CiIJk2ZjfdUU.jpg)
১৯ বছর বয়সে প্রথম ব্রেক
১৯৫৬ সালের ৯ অক্টোবর মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দিল্লি থেকে মুম্বাই পৌঁছান। কিন্তু তিনি তার প্রথম ছবি 'ফ্যাশন' (১৯৫৭) এ ৮০-৯০ বছর বয়সী ভিক্ষুকের একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। ভূমিকা ছোট হলেও আবেগ ছিল বড়। আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/04/iwL3IZf4FUF12PmXHlwx.jpg)
দেশপ্রেমের চেতনায় ভরা সিনেমার যাত্রা
মনোজ কুমারের কর্মজীবন এমন এক সময়ে বিকাশ লাভ করেছিল যখন সিনেমা বিনোদনের পাশাপাশি সমাজকে বার্তা দেওয়ার মাধ্যম হয়ে উঠছিল। তিনি 'উপকার' (১৯৬৭), 'পূরব অর পশ্চিম' (১৯৭০), 'রোটি কাপড়া অউর মাকান' (১৯৭৪), 'ক্রান্তি' (১৯৮১) এর মতো ছবিগুলির মাধ্যমে দেশপ্রেম এবং সামাজিক সমস্যাগুলিকে বড় পর্দায় কার্যকরভাবে উপস্থাপন করেছিলেন।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/04/LJp3W9HoRFfbg8NL8aKW.jpg)
সম্মান এবং কৃতিত্ব
মনোজ কুমার তাঁর অবদানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ৭ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ১৯৯২ সালে পদ্মশ্রী, ২০১৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান-সহ বেশ কয়েকটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।