''কীভাবে লিখব যা বলতে চলেছি সেটা পারিবারিক মন্তব্য যখন ওর চলে যাওয়া সম্পূর্ণ বিশ্ব ব্যক্তিগত ক্ষতি ভাবছে? কীভাবে নিজেকে একা ভাবব যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ এই মূহুর্তে আমাদের সঙ্গে ব্যথিত?'' ইরফান প্রয়াণে সুতপা ''আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে এটি কোনও ক্ষতি নয়, বরং লাভ। ও যা শিখিয়েছে এমন লাভ এবং অবশেষে আমরা প্রকৃত অর্থে তা বাস্তব প্রয়োগ ও বিকাশ শুরু করব।'' -
আশির দশকে দিল্লি ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-র সহপাঠী থেকে লন্ডন চিকিৎসার সময়, শেষ সময় পর্যন্ত পাশে থেকে দীর্ঘপথ সম্পূর্ণ করেছেন ইরফানের সুতপা।
ইরফানের সহযোদ্ধা ছিলেন সুতপা। অভিনেতার প্রয়াণে স্ত্রী, তাঁর শব্দ ধার করেই বলেছেন, আমাদের কাছে এটা অবিশ্বাস্য কিন্তু ইরফানের কথাতেই বলি ''ইটস ম্যাজিকাল'', সে ও আমাদের সঙ্গে থাকুক আর নাই থাকুক। -
দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালিয়েছেন ইরফান। তবে তাঁর লড়াই যতটা ছিল ঠিক ততটাই ছিল সুতপারও। বার বার ইরফান জানিয়েছেন, লড়াইয়ের প্রতিটা মূহুর্তে পাশে ছিলেন বন্ধু।
সুতপা লিখছেন, ''একটাই রাগ ওর উপর, হি হ্যাজ স্পয়েলড মি ফর লাইভ। ওর পরিপূর্ণতার প্রতি নিষ্ঠা আমায় কখনও সাধারণ বিষয়ে স্থিত হতে দিল না। ক্যাকোফনি ও বিশৃঙ্খলার মধ্যেও ছন্দ দেখতে পেত, আমিও অপটুতার সঙ্গে সেই ছন্দে পা মেলাতে শিখেছি।'' -
বেশ কিছুদিন একসঙ্গে থাকার পর ১৯৯৫ সালে রেজিস্ট্রি করেছিলেন ইরফান-সুতপা।
ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি প্রফেশনাল লাইফেও পাশে থেকেছেন স্ত্রী। এমনকী তাঁর দুটো ছবির প্রযোজকও ছিলেন সুতপা। -
সুতপা স্মৃতিচারণায় বলছেন, আমাদের জীবন অভিনয়ের মাস্টারক্লাস, তাই যখন অনাহুত অতিথির আগমন হয়েছে, ততক্ষণে আমি জানি সামঞ্জস্যের মানে। চিকিৎসকের রিপোর্টগুলো চিত্রনাট্যের মতো ছিল, যা আমি সবসময় চেয়েছি পারফেক্ট করতে।
-
চলে গেলেন ইরফান, রেখে গেলেন সহযোদ্ধা, বন্ধু সুতপা, ছেলে বাবিল ও আয়ানকে।
-
মুম্বইয়ের ভারসোভা গোরস্তানে সমাধিস্ত করা হয়েছে ইরফানের নশ্বর দেহ।
