New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/Mithun-Main.jpg)
রবিবার ব্রিগেড সমাবেশে মোদী-মিঠুন সাক্ষাৎ। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/Mithun-1-1.jpg)
"মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে" বা "আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি"- এমন রক্তগরম করা সংলাপ মানেই 'মহাগুরু' মিঠুন চক্রবর্তী। বাঙালির অন্যতম 'আইকন' রবিবার মোদীর ব্রিগেড সমাবেশ থেকে যোগ দিলেন বিজেপিতে। তারপরেই রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় বয়ে গিয়েছে। তাহলে কি মিঠুনই বিজেপির সম্ভাব্য মুুখ্যমন্ত্রী মুখ? উৎসাহীদের মধ্যে এমন আলোচনা যেমন চলছে, তেমনই অনেকেই 'মহাগুরু'র বিজেপি যোগ নিয়ে কটাক্ষও করছেন। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/Mithun-2-1.jpg)
এর কারণ আর কিছুই নয়, তা হল ডিস্কো ডান্সারের একসময় তৃণমূল-ঘনিষ্ঠতা নিয়ে। একদা রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন মিঠুন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছোট বোন বলে সম্বোধন করে বলেছিলেন, এর জন্য চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবেন। এহেন মানুষ বিজেপিতে যোগ দিলেন, তা মেনে নিতে পারছেন না অনেকে। কী এমন হল যে রাজনীতি ছেড়ে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হল, আর তারপর আজ গেরুয়া শিবিরে? /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/Mithun-3.jpg)
বঙ্গ ভোটে নেতাদের সঙ্গে অভিনেতাদেরও ভোলবদল দেখছেন অনেকেই ইদানীং। রুদ্রনীল, হিরণ, শ্রাবন্তী, পায়েল,যশ দাশগুপ্তরা তো ছিলেনই। এবার সেই দলে নাম লেখালেন মহাগুরুও। এক সময় এ রাজ্যের বামনেতাদের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এবং সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গভীরতা ছিল সর্বজনবিদিত। /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/Mithun-4.jpg)
সুভাষ চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর থেকে বামশিবিরের থেকে দূরত্ব তৈরি হয় মিঠুনের। তারপর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে। মমতার সঙ্গে সখ্যতা বাড়ার পর তৃণমূলের একাধিক মিছিল-মিটিং, সমাবেশে দেখা যেত তাঁকে। তারপর সবাইকে অবাক করে রাজ্যসভায় মিঠুনকে সাংসদ করে পাঠান তৃণমূল নেত্রী। তাঁর মর্যাদা রেখে মিঠুন তখন বলেছিলেন, "আমি অকৃতজ্ঞ নই। আমাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য আমার ছোট বোন মমতাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি এটা কোনওদিন ভুলব না।" কিন্তু সেসব এখন স্মৃতি। তারপর সারদা-কাণ্ডে নাম জড়িয়ে রাজনীতি থেকে বীতশ্রদ্ধ হয়ে আর বাংলামুখো হননি মিঠুন। তৃণমূল-সঙ্গও ত্যাগ করেন তিনি। /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/Mithun-5.jpg)
কয়েকদিন আগে ফের শিরোনামে আসেন তিনি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে বৈঠকের পর। সেসময় রাজনীতি-যোগের জল্পনা উড়িয়ে তিনি বলেন, ভাগবত তাঁর আধ্যাত্মিক গুরু। যোগচর্চা নিয়েই তাঁর বাড়িতে কথা হয় ভাগবতের। কে জানত কী মনে ছিল মহাগুরুর! এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল। /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/Mithun-6.jpg)
মোদীর মেগা ব্রিগেড সমাবেশে তিনি থাকবেন এই খবর চাউর হতেই দুইয়ে দুইয়ে চার করতে অসুবিধা হয়নি কারও। বোঝাই যাচ্ছিল, হঠাৎ রাজনীতির ময়দানে আগমন কেন! বিজেপিতেই সরাসরি যোগ দিতে চলেছেন এটা একপ্রকার পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/Mithun-7.jpg)
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য যেমন ব্রিগেডের উত্তাপ বাড়ছিল, তেমনই 'মহাগুরু'কে নিয়েও জনতার উৎসাহ ছিল। সেই উৎসাহ নিরসন হল তখন যখন মঞ্চ থেকে দিলীপ ঘোষের হাত থেকে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে আনুষ্ঠানিক ভাবে দলে যোগ দিলেন তিনি। তাঁর যোগদানের পর মানুষের উচ্ছ্বাস দ্বিগুণ হয়ে যায়। রাজ্য রাজনীতিতেও শোরগোল পড়ে যায় মিঠুনের গেরুয়া শিবিরে যোগদানে। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/Mithun-8.jpg)
এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে ফিল্মি সংলাপ বলা ছাড়াও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দিনটিকে স্মরণীয় বলে আখ্যা দেন মিঠুন। বলেন, আজ তাঁর জীবনে একটা স্মরণীয় দিন। এই দিনের জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। মোদীর সঙ্গে দেখা করার অনেক ইচ্ছা ছিল তাঁর। তা পূরণ হল। এবার সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য। আর লাল থেকে সবুজ হয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক বৃত্তও যেন সম্পূর্ণ হল বাঙালির গর্ব 'মহাগুরু' মিঠুনের। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us