পরেশ রাওয়াল সেই কয়েকজন অভিনেতাদের মধ্যে একজন যারা ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকা সত্ত্বেও এই সমগ্র চলচ্চিত্র শিল্পে কাজ করছেন। পরেশ আজ তাঁর ৬৮তম জন্মদিন উদযাপন করছেন।মুম্বাইয়ের একটি গুজরাটি পরিবারে জন্ম নেওয়া পরেশ শৈশব থেকেই নাটকের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। কলেজে পড়ার সময় ১৯৭৪ সালে নাটকে কাজ শুরু করেন।নাটকে নাম লেখালেও বড় পর্দায় দেখাই তাঁর নিয়তি।১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'অর্জুন' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করেন পরেশ রাওয়াল। কিন্তু ১৯৮৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নাম’ চলচ্চিত্র তাকে একজন দুর্দান্ত অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি এনে দেয়।১৯৯৪ সালে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বায়োপিক পরেশ রাওয়ালকে বিখ্যাত করে তোলে। পরেশের অভিনয় শুধু দেশেই নয় বিদেশেও প্রশংসিত হয়েছিল।পরেশ ১৯৮৭ সালে মিস ইন্ডিয়া খেতাব জয়ী স্বরূপ সম্পাতকে বিয়ে করেন।স্বরূপ সম্পাত তখন একটা বড় নাম এবং পরেশ রাওয়াল তখনও সংগ্রাম করছিলেন। যাইহোক, স্বরূপ বিনা দ্বিধায় পরেশের কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস দেখিয়ে তাঁর সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন।তাঁর সংগ্রামের সময়, পরেশ কিছুদিন ব্যাঙ্ক অফ বরোদায়ও কাজ করেছিলেন, কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি কেরানি কাজের জন্য জন্মগ্রহণ করেননি এবং চাকরি ছেড়ে দেন।২০০০ সালে 'হেরা ফেরি' ছবিতে বাবুরাও গনপতরাও আপ্তের চরিত্রে পরেশের ভূমিকা সুপার হিট হয়। এই চরিত্রের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার সেরা কমেডিয়ান পুরস্কারও জিতেছিলেন।পরেশ রাওয়াল ভারতের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে কাজ করতেন।পরেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। তারা বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে তাদের দৃঢ় মতামত প্রকাশ করে, যার কারণে তারা প্রায়শই বিতর্কের মধ্যে পড়ে।পরেশের ভিলেন এবং কমেডি চরিত্রে অভিনয় করার দক্ষতা রয়েছে। 'বাদে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ', 'রেস', 'আক্রোশ', 'আন্দাজ আপনা আপনা', 'চাচি 420', 'নায়ক', 'আওয়ারা পাগল দিওয়ানা', 'হুচাল', 'ভুলভুলাইয়া', 'ওয়েলকাম', 'ওহ। 'মাই গড' এবং আরও অনেক ছবিতে তার ভূমিকা এখনও মানুষের মনে আছে। (ছবি সৌজন্যে: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)