রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাটের বলিউডের বিয়ে হয়েছিল ২০২২ সালের এপ্রিলে। তাঁদের দুজনেরই 'রাহা' নামে একটি মেয়ে রয়েছে। দুজনই বলিউডের অন্যতম সুপারস্টার অভিনেতা। এমন পরিস্থিতিতে আসুন জেনে নেওয়া যাক রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের মধ্যে সবচেয়ে ধনী কে? (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাট দুজনেই বলিউডের সফল অভিনেতা। এর পাশাপাশি, তাঁরা দুজনই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতাদের একজন। (@ রণবীর_কাপুর /ইন্সটা)রণবীর কাপুর সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, অভিনেতা প্রায় ৩৪৫ কোটি টাকার সম্পদের মালিক যার মধ্যে প্রকৃত বিনিয়োগ, বিলাসবহুল গাড়ি এবং মুম্বাইতে দুটি বাড়ি রয়েছে। রণবীর কাপুর পুনে ভিত্তিক কোম্পানি ড্রোন আচার্য এরিয়াল ইনোভেশনে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)এছাড়াও রণবীর কাপুরের মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানি সাভনেও শেয়ার রয়েছে। মুম্বাইয়ের পালি হিলে অভিনেতার একটি বাস্তু বাড়ি রয়েছে যার মূল্য ৩৫ কোটি টাকা। পুনে ট্রাম্প টাওয়ারে তার একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে যা তিনি ১৩ কোটি টাকায় কিনেছিলেন। (@ রণবীর_কাপুর /ইন্সটা)রণবীর কাপুর একটি ছবির জন্য ৩০-৫০ কোটি টাকা নেন। এ ছাড়া অভিনেতা অনেক কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর যেখান থেকে কোটি টাকা আয় করেন। (@ রণবীর_কাপুর /ইন্সটা)এছাড়াও অনুরাগ বসুর সাথে শুরু হওয়া 'পিকচার শুরু' প্রোডাকশন হাউসেও তার একটি অংশ রয়েছে। এই প্রোডাকশন হাউসে 'জগ্গা জাসুস', 'ব্রহ্মাস্ত্র'-এর মতো ছবি নির্মিত হয়েছে। অন্যদিকে, রণবীর কাপুর মুম্বাই সিটি এফসি ফুটবল দলের সহ-মালিক। (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)এখন আলিয়া ভাটের কথা বলা হচ্ছে, তিনি তাঁর স্বামী এবং অভিনেতা রণবীর কাপুরের চেয়ে অনেক বেশি ধনী। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিনেত্রীর মোট সম্পত্তি ৫১৭ কোটি টাকা। (@ আলিয়াভট্ট /এফবি)আলিয়া ভাট একটি ছবির জন্য ১৫-২০ কোটি টাকা নেন। আলিয়া ভাটও বিজ্ঞাপন থেকে কোটি টাকা আয় করেন। (@ আলিয়াভট্ট /এফবি)অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি আলিয়া ভাট একজন প্রযোজকও। ২০২১ সালে তিনি তাঁর নিজস্ব 'ইটারনাল সানশাইন' প্রোডাকশন হাউস খোলেন। আলিয়া ভাটের 'এড-এ-মামা' নামে একটি বাচ্চাদের পোশাকের ব্র্যান্ডও রয়েছে। শিশুদের পোশাক থেকে শুরু করে কাস্টমাইজড ব্যাগও পাওয়া যাচ্ছে। (@ আলিয়াভট্ট /এফবি)এগুলি ছাড়াও আলিয়া ভাট কানপুরের একটি ধূপকাঠি সংস্থা 'ফুল'-এও অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। অভিনেত্রী ২০২১ সালে এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন যা মন্দিরে দেওয়া ফুল সংগ্রহ করে এবং সেগুলি থেকে ধূপকাঠি এবং ধূপ তৈরি করে। (@ আলিয়াভট্ট /এফবি)