সিনেমা-টিনেমা বিনোদন

ফিরে দেখা, মৃণাল সেনের চোখে তিলোত্তমা

মৃণাল সেনের ছবিতে কলকাতা শুধু শহর নয়, একটি চরিত্রও বটে। তাঁর বিভিন্ন ছবির দৃশ্যের অনুকরণে তৈরি আমাদের এই ফোটো গ্যালারি। ছবি তুলেছেন শশী ঘোষ।

Written by IE Bangla Web Desk

মৃণাল সেনের ছবিতে কলকাতা শুধু শহর নয়, একটি চরিত্রও বটে। তাঁর বিভিন্ন ছবির দৃশ্যের অনুকরণে তৈরি আমাদের এই ফোটো গ্যালারি। ছবি তুলেছেন শশী ঘোষ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ফিরে দেখা, মৃণাল সেনের চোখে তিলোত্তমা

চালচিত্রটা সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে, সন্দেহ নেই।তবু,সবচেয়ে কাছাকাছি রূপরেখা বলতে 'নীল আকাশের নীচে'-র (১৯৫৮) কথাই মনে পড়ে। মহাদেবী বর্মার একটি ছোট গল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই ছবি চিন দেশ থেকে ভারতে আসা ওয়াং লু নামের এক শ্রমিক এবং বাসন্তী নাম্নী এক স্থানীয় গৃহবধূর দেহাতীত প্রেমের আখ্যান। রাজনৈতিক অনুষঙ্গের ছড়াছড়ি ছিল ছবিটিতে। স্বাধীন ভারতে এটিই প্রথম ছবি, যা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল। ছবি: শশী ঘোষ

  • চালচিত্রটা সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে, সন্দেহ নেই।তবু,সবচেয়ে কাছাকাছি রূপরেখা বলতে 'নীল আকাশের নীচে'-র (১৯৫৮) কথাই মনে পড়ে। মহাদেবী বর্মার একটি ছোট গল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই ছবি চিন দেশ থেকে ভারতে আসা ওয়াং লু নামের এক শ্রমিক এবং বাসন্তী নাম্নী এক স্থানীয় গৃহবধূর দেহাতীত প্রেমের আখ্যান। রাজনৈতিক অনুষঙ্গের ছড়াছড়ি ছিল ছবিটিতে। স্বাধীন ভারতে এটিই প্রথম ছবি, যা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল। ছবি: শশী ঘোষ
  • পদাতিক (১৯৭৩) এবং আরও অন্যান্য অনেক ছবিতে আমরা ভিড়ে ঠাসা বাস দেখেছি। আজকাল বাদুড় ঝোলা ঝোলেন না কেউ, কিন্তু বাসেদের উপস্থিতি উপেক্ষা করবেন কী করে? ছবি: শশী ঘোষ
  • কাঁধে ঝোলা, এবং বন্ধ দরজা-জানালা, মৃণাল সেনের বহু ছবিতে দেখা গেছে। যেমন ইন্টারভিউ (১৯৭১), যা সেই সময়ের হিসেবে ছিল সৃষ্টিছাড়া, আজ কালজয়ী। ছবি: শশী ঘোষ
  • রেড রোডে আধশোয়া মৃণাল সেন, চলছে শটের প্রস্তুতি। ছবিটা তাঁর নিজের তৈরি কোনও ছবির চেয়ে কোনও অংশে কম স্মরণীয় নয়। ছবি: শশী ঘোষ
  • হারিয়ে যাচ্ছে ট্রাম, হারিয়ে যাচ্ছে সেই জীবনযাত্রা। তবে 'ইন্টারভিউ' ছবির ট্রামের দৃশ্য মনে গেঁথে আছে, থাকবে। ছবি: শশী ঘোষ
  • অলিগলির সংকীৰ্ণ পরিসর এবং রাস্তাঘাটে দেওয়ালে রাজনৈতিক স্লোগান, মৃণাল সেনের বরাবরের পছন্দের দৃশ্যকল্প। এই দুটির একটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না, মৃণাল সেনের চিত্রপঞ্জিতে এমন ছবি নেই বললেই চলে যেমন ধরুন 'কলকাতা ৭১' (১৯৭২) এবং 'একদিন প্রতিদিন' (১৯৭৯)। ছবি: শশী ঘোষ
  • রাজনৈতিক মিছিল এবং উত্তপ্ত স্লোগান মৃণাল সেনের অধিকাংশ ছবির বুনিয়াদ তৈরি করে দিয়েছে। যে মিছিল এবং স্লোগান ছিল উচ্চকিত ভাবে বামপন্থী। এবং সাত আর আটের দশকের কলকাতায় এই বামপন্থী প্রেক্ষিত অনিবার্যই ছিল।সুপ্রযুক্তও বটে। ছবি: শশী ঘোষ
  • ধাতব চোঙা, যা থেকে তারস্বরে ছিটকে বেরোচ্ছে শব্দ, একসময় চোখে পড়ত কলকাতার প্রতিটি রাস্তায়। 'একদিন প্রতিদিন'-এর একাধিক দৃশ্যে ছিল যার উপস্থিতি। সে কলকাতাও আর নেই, সেই চোঙাও অদৃশ্য। ছবি: শশী ঘোষ
  • রাস্তা হয়তো নয় সংকীর্ণতম, তবু যেন দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। যেন দৈনন্দিন গতানুগতিকতা আর বেঁচে থাকার লড়াইয়ের প্রতীক। যে মোটিফ ফিরে ফিরে এসেছে মৃণালের ছবিতে। ছবি: শশী ঘোষ
  • একদিকে জীবনসংগ্রামে বিক্ষত একাকী মানুষ, আর বিপ্রতীপে উদ্ধত আকাশচুম্বী স্থাপত্য।মৃণাল সেনের অন্যতম প্রিয় চিত্রকল্প। যে কারণে কলকাতার শহীদ মিনারের প্রবল উপস্থিতি তাঁর একাধিক ছবিতে। ছবি: শশী ঘোষ
Bengali Cinema Mrinal Sen kolkata public transport