ঋতুস্রাব নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এর আগে ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি মুক্তির আগে কলকাতার বুকে মৌন মিছিল করেছিলেন ‘শবরী’ ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। গত স্বাস্থ্য দিবসে (Menstrual Hygiene Day) কলকাতার সব শৌচাগারে স্যানিটারি ন্যাপকিনের বন্দোবস্ত করার অঙ্গীকার করেছিলেন অভিনেত্রী।নারীদেহ পুরোপুরি শুচি নয়! রজঃস্বলা কিংবা ঋতুমতীদের মন্দিরের চৌকাঠের ওপারে যাওয়ার কোনও অধিকার নেই। “নারী দেহ শুচি কিনা”, এই ট্যাবু বহু যুগ ধরে আমাদের সমাজে প্রচলিত। সমাজের সেই জগদ্দল পাথরের ভীত নড়াতেই পর্দায় এক অনন্য নারীকাহিনি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ‘শবরী’ ঋতাভরী চক্রবর্তী। ঋতুস্রাব নিয়ে আমাদের সমাজে প্রচলিত যাবতীয় যে কুসংস্কার এবং অজ্ঞতা রয়েছে, সেসব দূর করতেই তখন থেকে সচেতন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন ঋতাভরী। সেই প্রেক্ষিতেই অভিনেত্রী স্বপ্ন দেখেন, কলকাতা প্রথম এমন শহর হবে, যেখানে প্রত্যেক সাধারণ শৌচাগারে থাকবে প্যাড ভেন্ডিং মেশিন।একবিংশ শতাব্দীতে এসে ঋতুচক্র গোপন করার নয়, আরও বেশি করে আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত বলে মনে করেন ঋতাভরী।অভিনেত্রীর ইচ্ছে কলকাতার প্রত্যেকটা শৌচাগারে স্যানিটারি ন্যাপকিন মজুত থাকবে। যাতে করে রাস্তাঘাটে দরকার পড়লেই সেখান থেকে যে কোনও মহিলারা বিনামূল্যে প্যাড সংগ্রহ করতে পারে।এই বিষয়ে বাংলার প্যাডম্যান শোভনের সঙ্গে আগেই আলোচনা করেছিলেন। পরিকল্পনামাফিক কাজও করেছেন।ইতিমধ্যেই ঋতাভরী চক্রবর্তীর উদ্যোগে শহরের প্রায় একশোটা শৌচালয়ে বসানো হয়েছে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন। অভিনেত্রী তাই দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, "যখন কাজটা শুরু করেছি, তখন শেষ করেই ছাড়ব।"ঋতাভরীর মতে, পাঠ্যবইতেও ঋতুচক্র সম্পর্কীয় চ্যাপ্টার থাকা উচিত। তাহলেই আরও বেশি করে সচেতনতা আসবে। দেশের সিংহভাগ গ্রামের মহিলারা এখনও পর্যন্ত ঋতুচক্রের কারণে শরীরে রোগ বাঁধান। অভিনেত্রীর ইচ্ছে, এই অশিক্ষা, অসচেতনতা যেন দূর হয়।পাশাপাশি অভিনেত্রী এও উল্লেখ করেছেন যে, শহরের বিভিন্ন শৌচালয়ে প্যাড ভেন্ডিং মেশিন বসানোর জন্য পুরুষরাই বেশি করে অর্থসাহায্য করেছেন।পাশাপাশি অতিমারীতে (Pandemic) দুস্থ বয়স্ক নাগরিকদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছেন। প্রেমও করছেন বর্তমানে চুটিয়ে। শিগগিরিই বিয়ের পিঁড়িতেও বসবেন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। অনুরাগীদের কথায়, ঋতাভরী সত্যিই রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী। (ছবি- ইনস্টাগ্রাম)
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন