'ঋতু সমাপন', নশ্বর থেকে অবিনশ্বরে। ৩০ মে ২০১৩ আজকের দিনে 'তাসের ঘর' থেকে শেষ যাত্রায় বেরিয়ে এলেন।
১৯৯২ সালে হিরের আংটি দিয়ে ছবির জগতে যাত্রা শুরু। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া 'উনিশে এপ্রিল' এর জন্য জাতীয় পুরস্কার। আন্তর্জাতিক পুরস্কারের তালিকাও বেশ লম্বা। ২০১৩ সালে পেলেন বঙ্গবিভূষণ।
চিত্রাঙ্গদা, আরেকটি প্রেমের গল্প এবং মেমরিজ ইন মার্চ ছবিতে ঋতুপর্ণ ঘোষের অভিনয় মন কেড়েছিল অনুরাগীদের।
পরিচালনা থেকে অভিনয়, নিজের আঙ্গিকেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন স্বয়ংসম্পূর্ণ ধারা। শেষ যাত্রাতেও ছিল অনুরাগী-পরিজনদের ঢল।
'সত্যান্বেষী' ছবির শুটিং শেষ করলেও ছবির বাকি কাজ অসম্পূর্ণই থেকে যায়। অসময়ে থেমে যাওয়া ঋতুকে উৎসর্গ করেই পরবর্তীতে মুক্তি পায় ছবিটি।
রবীন্দ্রনাথের জীবন নিয়ে শেষ ডকুমেন্টরি 'জীবন স্মৃতি'।
রবীন্দ্রনাথের 'চিত্রাঙ্গদা'কে বড় পর্দায় নতুন রূপ দিলেন ঋতুপর্ণ। সংলাপে বদল এনে বললেন, "চিত্রাঙ্গদা একটা ইচ্ছের গল্প, দ্যাট ইউ ক্যান চুজ ইয়োর জেন্ডার"
সমকামীতা, রূপান্তরকামীতা বিতর্কে বারংবার এসেছে তাঁর নাম। কলমে সোচ্চারও হয়েছেন। বাবার মৃত্যুর পর লিখলেন, "ট্রেনে তো তুলে দিয়ে আসলাম, পৌঁছল কি না জানা হল না।" মৃত্যুবার্ষিকীতে অনুরাগীদের মনেও থেকে গিয়েছে এই প্রশ্নটিই