শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বড়সড় সিদ্ধান্ত। যুব তৃণমূলের সভানেত্রী হলেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। যে পদে কিনা এযাবৎকাল ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
অভিনেত্রী থেকে জননেত্রীতে উত্তরণ। গুরুদায়িত্ব পেয়েই উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী। ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
যুব তৃণমূলের সভানেত্রী পদপ্রাপ্তির পরই সায়নীর সপাট মন্তব্য, "আমি এখানে আর্ম চেয়ার পলিটিক্সের জন্য আসিনি। ভোটের পরে ৪ বছর দেখা পাওয়া যাবে না এই ধরনের রাজনীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। দল বুঝে গিয়েছে আমি সত্যিই ময়দানে নেমে রাজনীতি করতে চাই।"
প্রসঙ্গত সায়নী ঘোষ একুশের বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) মুখে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়েছিলেন। উপরন্তু নির্বাচনী টিকিটও পেয়েছেন।
আসানসোল (Asansol South) দক্ষিণে প্রচারের ময়দানে তাঁকে বেজায় কসরত করতে দেখা গেলেও ভোটে জিততে পারেননি তিনি। বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তবে নির্বাচনী মার্কসিটে নিজেদের কেন্দ্রে তৃণমূলকে আগের থেকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী।
ভোটে হেরেও জারি রেখেছেন সমাজসেবা। সায়নী ঘোষ পৌঁছে গিয়েছেন আসানসোলের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ত্রাণ নিয়ে। বাচ্চাদের হাতে তুলে দিয়েছেন অতিমারী মোকাবিলার জন্য অত্যাবশকীয় পণ্যদ্রব্য। তৃণমূলের এই তারকা নেত্রীর এমন স্পিরিট মুগ্ধ করেছে অনেককেই।
নির্বাচনী ফলাফলের পর গোটা আসানসোল জুড়ে দাবি উঠেছিল, প্রশাসনিক পদে সায়নী ঘোষকে চাই। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সেই ইচ্ছেই যেন পূরণ হল। গুরুত্বপূর্ণ দলীয় পদ পেলেন সায়নী।
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে শাসকদলের যে ধরনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার সামনে উঠে আসে তার সিংহভাগ হল মাদার বনাম যুবর সংঘাত। সেটাকে কীভাবে দূর করবেন তার ছকও কষে ফেলেছেন সায়নী। তিনি বলেন, “আমি এখন এসে গিয়েছি, আর মাদার আর যুবর মধ্যে কোনও সংঘাত-মনোমালিন্য থাকবে না। আমি ভোটের সময় দুই ধরনের নেতার সঙ্গেই কাজ করেছি, ঘুরেছি। সবাইকে নিয়ে চলতে ভালবাসি, আগামিদিনেও চলব। দলনেত্রী কোনও অভিযোগ পাবেন না।”
নির্বাচনী ফলপ্রকাশের পরই তৃণমূলের দুই তারকা সদস্য দেব ও রাজ সায়নীর উদ্দেশে লিখেছিলেন-‘হার কে জিতনে বালো কো বাজিগর কেহতে হ্যায়!’ সেটাই যেন এবার অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণিত হল। অনুরাগীরা বলছেন, "আসল খেলা তো খেললেন সায়নী ঘোষ।"