-
ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা এবং ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ছাত্র ছিলেন সতীশ কৌশিক। অতঃপর অভিনয়, পরিচালনা থেকে সিনেমার ব্যকরণের খুঁটিনাটি সবই ছিল তাঁর নখদর্পণে।
-
তবে দেশের ১ নম্বর ফিল্ম স্কুলের ছাত্র হয়েও প্রথম ব্রেক পেতে গিয়ে বেগ পেতে হয় সতীশকে। মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে তাঁকে দিয়ে অভিনয় করানো হয়েছিল এক ছবিতে। স্টারকাস্টও ঝাঁ চকচকে ছিল।
-
১৯৮১ সালে ‘চক্র’ সিনেমার সুবাদেই অভিনেতা হিসেবে প্রথমবার পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন সতীশ কৌশিক। লিড রোলে নাসিরুদ্দিন শাহ ও স্মিতা পাটিল।
-
সেই ছবিতেই ৫০০ টাকার বিনিময়ে ছোট্ট একটা চরিত্রে অভিনয় করেন সতীশ। প্রথম দিনের শুটে ঘটে এক মজার ঘটনা। সতীশের ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার বন্ধু সুহাস খান্ডকে ছিলেন সেই ছবির সহকারী-পরিচালক। তিনিই অভিনেতার নাম প্রস্তাব করেন।
-
সেটে গিয়েই প্রথমদিন নাসিরুদ্দিনের সঙ্গে দেখা হয় সতীশের। এনএসডি থেকেই নাসিরের সঙ্গে আলাপ ছিল তাঁর। সতীশকে দেখে তিনি জিজ্ঞেস করেন, “কী শুটিং দেখতে এসেছ?” উত্তরে কৌতূক অভিনেতা বলেন, “না স্যর, এই ছবিটায় অভিনয় করছি।”
-
‘চক্র’ সিনেমাটার প্রথম সহকারী পরিচালক ছিলেন আবার রাজকুমার সন্তোষী। সতীশের প্রথম শট দেখেই প্রশংসায় ভরিয়ে তিনি বলেন, “আরে ভাল অভিনেতা তো ভাই..।” সেই প্রশংসা শুনে তো উচ্ছ্বসিত হয়ে যা সতীশ কৌশিক। এখানেই শেষ নয়..
-
শুট শেষের পর এতটাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন যে, নিজেকে ২ বোতল ঠান্ডা জল ট্রিট দেন। আর তা আনতে গিয়ে রেললাইনের ট্র্যাকের ওপর দিয়ে দৌঁড়ে এপার-ওপার করেন।
-
সতীশ অবশ্য অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কিছু সিনেমাও পরিচালনা করেন। তার মধ্যে- ‘তেরে নাম’, ‘মুঝে কুছ কেহেনা হ্যায়’, ‘হাম আপকে দিল মে রেহতে হ্যায়’ উল্লেখ্য। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘রাম লক্ষ্মণ’, ‘স্বর্গ’, ‘সাজন চলে শশুরাল’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস খিলাড়ি’-র মতো একাধিক ছবিতে সতীশ কৌশিকের অভিনয় মনে রাখবে দর্শক। তাঁর অভিনীত শেষ সিনেমা কঙ্গনা রানাউতের ‘এমার্জেন্সি’।
মাত্র ৫০০ টাকায় অভিনয়, সতীশ বেহুঁশ হয়ে ছোটেন রেললাইনের ওপর দিয়ে! তারপর?
ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা-র ছাত্র হয়েও প্রথম ব্রেক পেতে গিয়ে বেগ পেতে হয় অভিনেতাকে।
Web Title: Satish kaushik was paid rs 500 for first role ran across train tracks554452