সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। টলিউড ইন্ডাস্ট্রির ফিট নায়িকা। সদ্য ৩৪ এ পা রেখেছেন নায়িকা। সেই তাঁর কাছেই এসেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি।
তিনি যে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির কাছের মানুষ সে ইঙ্গিত হামেশাই দিয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী।
কখনো সিরিয়ালের এপিসোডের দৃশ্য উল্লেখ করে কখনো আবার সিনেমার বা অভিনেতাদের নাম ধরে প্রশংসা করেন ‘দিদি’।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিনোদন জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ওঠাবসাও চোখে পড়ে। এঁদের মধ্যে অন্যতম সায়ন্তিকা।
শরীরচর্চা নিয়ে তিনি যেভাবে সক্রিয় তা টলিউডের অন্যান্য নায়িকার মধ্যে তেমন দেখা যায় না।
টলিউডে তাঁর হাতে খড়ির এগারো বছর পার। প্রথম ছবি স্বপন সাহা পরিচালিত ‘ঘর সংসার’। প্রায় তেরোটিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন এই নায়িকা। এবার সেই নায়িকার কাছেই পৌঁছল মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি।
বছর দুয়েক আগে অভিনেতা জয়ের সঙ্গে ব্রেকআপ হয় সায়ন্তিকার। তখন প্রকাশ্যে অনেক জল ঘোলা হলেও আজ সেসব দিন ফেলে এসে নতুন পথে এগিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী।
জানা যায়, এই ঘটনার আগে টলিউডে একটা সময় সায়ন্তিকা- মিমি-নুসরত-তনুশ্রীদের ‘গার্লগ্যাং’ বলা হত।
'হ্যাংওভার', 'আওয়ারা', 'উমা'র মতো সুপারহিট সিনেমার পরেও আলোচনার বাইরে সায়ন্তিকা । বাণিজ্যিক ছবির চরিত্রের বাইরে তাঁকে সেভাবে দেখা যায়নি।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির কথায় ফেরা যাক। এমনিতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা উপহার নিয়ে মাতামাতি থাকেই ‘বার্থ ডে গার্ল’ বা ‘বার্থ ডে বয়ে’র। তবে সেই শুভেচ্ছা বার্তা যদি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর দরবার থেকে আসে তাহলে তো আর কথাই নেই।
হ্যাঁ, মুখ্যমন্ত্রী নিজের তাঁর ‘লেটার হেডে’ সায়ন্তিকাকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন। গতবারও এই শুভেচ্ছা পেয়েছেন অভিনেত্রী।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “প্রিয় সায়ন্তিকা, তোমার জন্মদিনে রইল আমার অনেক, অনেক, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা রাখছি এই বিশেষ দিনটি তোমার জীবনে আরও সমৃদ্ধি ও গৌরবের বার্তা বয়ে আনবে”।
মমতা আরও লেখেন, “তোমার ও তোমার সকল প্রিয়জনের সুখ, শান্তি ও সাফল্য কামনা করছি। সুস্থ থেকো ভালো থেকো। শুভেচ্ছান্তে (মমতা ব্যানার্জ্জী)”।