৪০ দিনের 'ফাইট' শেষে থামলেন ক্ষিদ্দা। প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কর্মময় একটি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটল। রবিবার দুপুর সওয়া ১২টায় মধ্য কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা।
১৯৩৫ সালের ১২ জানুয়ারি নদিয়ার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বাবা ছিলেন মোহিত চট্টোপাধ্যায় ও মা আশালতাদেবী। কৃষ্ণনগরেই পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া। তারপর হাওড়া জেলা স্কুলে কাটে বাকি স্কুলজীবন। তারপর আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
স্কুল জীবন থেকেই নাটক, আবৃত্তির প্রতি টান তাঁর। যা থেকে গিয়েছিল আমৃত্যু। কলেজে পড়াকালীনই রেডিওয় কাজ পান তিনি। পরে চলচ্চিত্রের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে সৌমিত্রবাবুর। ১৯৫৯ সালে সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় অপুর সংসার ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে এই মহান অভিনেতার রূপোলি পর্দায় কর্মজীবনের শুরু।
এরপর আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সত্যজিত রায়ের ১৪টি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। সোনার কেল্লা, জয়বাবা ফেলুনাথে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় কালজয়ী। দীর্ঘ ছয় দশকের কর্মজীবনে সত্যজিৎ রায় ছাড়াও সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায় কাজ করেছেন পরিচালর তপন সিনহা, মৃণাল সেন, অজয় করের সঙ্গেও।
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নাটক, সুরুয়াল, যাত্রাতেও সমান দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন সৌমিত্রবাবু। নাটক নির্দেশনাও করেছেন। তাঁর গলায় আবৃত্তি পাঠ অসামান্য।
পদ্ম ভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে, বঙ্গবিভূষণের পাশাপাশি বছর তিনেক আগে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র সম্মান লিজিওঁ অফ ওনার পান সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
মহান এই অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া বাংলা তথা গোটা দেশের চলচ্চিত্র মহলে।
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন