-
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই বিনোদুনিয়াও বিপর্যস্ত! শুটিং করতে গিয়ে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক তারকা তথা কলা-কুশলী। সেই জন্যই ১৬ মে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ১৫ দিনের জন্য শুটিং বন্ধ ছিল। তবে এবার ফের লকডাউন আগামী ১৫ জুন অবধি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে টেলিপাড়া।
-
এপিসোড ব্যাঙ্কিং থাকায় গোড়ার দিকে সমস্যায় পড়তে হয়নি নির্মাতাদের। দিব্যি এই কদিন টেলিকাস্ট চালিয়ে গিয়েছেন।
-
যদিও এবার ফের লকডাউন বৃদ্ধি পাওয়ায় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নিজেরাই বাড়ি থেকে শ্যুটিং করছেন নিজেদের ইকুইপমেন্ট দিয়ে। আর সমস্যার সূত্রপাত্রটা সেখান থেকেই।
-
বাড়ি থেকে শ্যুটিং করে ধারাবাহিক করা এর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (FCTWEI)।
-
সংগঠনের দাবি, ‘শ্যুট ফ্রম হোম’ করায় এপিসোড নিয়মিত চলছে। কিন্তু আসল সমস্যায় পড়েছেন টেকনিশিয়ানরা। কারণ, কাজ বন্ধ থাকায় টাকা পাচ্ছেন না তাঁরা। সেই কারণে বাড়ি থেকে শ্যুটিংয়ের পক্ষে সায় দেয়নি ফেডারেশন।
-
এপ্রসঙ্গে টেকনিশিয়ানদের হয়ে সওয়াল করেছেন ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। তিনি জানতে চেয়েছেন যে, ‘কৃষ্ণকলি’, ‘রাণী রাসমণি’ আর ‘বরণ’ সিরিয়ালগুলির নির্মাতারা কেন বাড়ি থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দিয়ে শ্যুটিং করাচ্ছেন?
-
স্বরূপের কথায়, ধারাবাহিক মানেই প্রযোজক-অভিনেতা-টেকনিশিয়ান সবাইকে নিয়ে কাজ করা। তাঁদের বাদ দিয়ে কাজ করলে গুণগত মান যেমন কমবে, ঠিক তেমনই ন্যায্য পারিশ্রমিকও পাবেন না তাঁরা।
-
এতে করে কলাকুশলীরা ভীষণ সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন। আর সেই সমস্যার কথা জানিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছে ফেডারেশন।
-
যদিও নির্মাতাদের মত, বাড়ি থেকে শ্যুটিং করা যাবে না বলে এমন কোনও চুক্তি কোথাও হয়নি। বরং, রিপিট টেলিকাস্ট করলে প্রযোজনা সংস্থা থেকে চ্যানেল সবাই লোকসানের মুখে পড়বে।
-
টলিপাড়ার শুটিংয়ের ভবিষ্যৎ কি তাহলে অনিশ্চয়তার মধ্যে? এই অতিমারীতে বাড়ি থেকেই শুটিং চলবে না ফের কলাকুশলীদের কথা ভেবে ফিরতে হবে ফ্লোরে? বলবে সময়ই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন