-
প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানের আত্মহত্যার ঘটনায় নতুন আপডেট আসছে।
দাবিত্যাগ: এই লেখাটি অনুবাদ করা হয়েছে। মূল বাক্য খুঁজে পাবেন এখানে
-
জিয়ার প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে অভিনেত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ উঠেছে।
-
সুরজ পাঞ্চোলি অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে। কয়েক বছর আগে, সলমন খানের একটি ছবিতে তাঁর অভিষেক হয়েছিল। ২০ এপ্রিল, বিশেষ সিবিআই বিচারক এএস সৈয়দ উভয় পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি শোনার পর জিয়া খান আত্মহত্যা মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত সিদ্ধান্ত সংরক্ষণ করেন।
-
এখন আগামীকাল অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল সকাল ১০.৩০ মিনিটে জিয়া খান মামলার চূড়ান্ত রায় দেবে বিশেষ সিবিআই আদালত। এ কারণে এ ফলাফলের দিকে সবার নজর পড়েছে।
-
প্রায় ১০ বছর পর এই মামলার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হওয়ায় আতঙ্কও বেড়েছে অনেকের মনে।
-
৩ জুন ২০১৩ তারিখে জিয়া খানকে তাঁর ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আত্মহত্যার পর তাঁর বাড়িতে ছয় পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে যা জিয়া খান নিজেই লিখেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
-
মামলাটি প্রথমে আত্মহত্যা বলে খারিজ করা হলেও পরে জিয়ার মা মেয়েটির প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলিকে হত্যার জন্য অভিযুক্ত করেন। এরপর আদালত সুরজকে জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে।
-
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় জিয়া ও সুরজের বন্ধুত্ব। তারপর ধীরে ধীরে দুজনেই দেখা শুরু করে। এরপর এই বন্ধুত্ব প্রেমে রূপ নেয়।
-
জিয়া যখন তার মা রাবিয়াকে সুরজের সাথে তাঁর সম্পর্কের কথা বলেন, তখন তাঁর মা খুব একটা খুশি হন না। তবে, তিনি এতে আপত্তি করেননি, কারণ তিনি তাঁর মেয়েকে সুখী দেখতে চেয়েছিলেন।
-
জিয়া আত্মহত্যা করার আগে, সূরজ তাকে এমন কিছু মেসেজ পাঠিয়েছিলেন, যার কারণে তিনি হতাশায় পড়েছিলেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, সূরজ জিয়াকে ১০টি বার্তা পাঠিয়েছিলেন, যার ভাষা ছিল অত্যন্ত নোংরা এবং অশ্লীল।
-
আত্মহত্যার দিন জিয়া বেশ কয়েকবার সুরজকে ফোন করলেও সে জিয়ার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি। জিয়া তাঁর চরিত্রে সুরজ পাঞ্চোলিকে নিয়ে অনেক কিছু লিখেছেন। ওই চিঠিতে জিয়া আরও লিখেছিলেন, তিনি শুধু জিয়াকে নির্যাতন করেছেন। পরে এই চিঠি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়।
-
জিয়া খানের ক্যারিয়ার বেশিদিন ছিল না। রাম গোপাল ভার্মার ‘নিশব্দ’ দিয়ে তার অভিষেক হয়। ছবিটিতে অমিতাভ বচ্চন এবং রেবতী প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ‘গজিনি’, ‘হাউসফুল’-এর মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন জিয়া। (ছবি সৌজন্যে: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)
দাবিত্যাগ: এই লেখাটি অনুবাদ করা হয়েছে। মূল বাক্য খুঁজে পাবেন এখানে
