বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর মহম্মদ ইউনূস এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নৃশংসতা দেখছে গোটা বিশ্ব। মহম্মদ ইউনূস সরকারের সিদ্ধান্তে দুই দেশের মধ্যে ক্রমাগত উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে।
এখন বাংলাদেশের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে যে আগামী দিনে দেশে অন্ধকার বিরাজ করতে পারে।
আসলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। আদানি গ্রুপ বাংলাদেশকে জানিয়েছে, আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে আদানি পাওয়ার।
বর্তমানে বাংলাদেশে সরবরাহের অর্ধেক বন্ধ করে দিয়েছে আদানি পাওয়ার। আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ থেকে বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কয়েকবার আলোচনা করেছে, কিন্তু বর্তমানে আলোচনা থেকে কিছুই বেরিয়ে আসেনি।
একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে বকেয়া পরিশোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৭০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা) লেটার অফ ক্রেডিট দিতে বলেছিল। যার সময়সীমা ছিল ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।
আদানি পাওয়ার বিপিডিবি থেকে এলসি পায়নি। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে কমিয়েছে আদানি পাওয়ার ঝাড়খন্ড লিমিটেড। প্রকৃতপক্ষে, আদানি পাওয়ার ঝাড়খন্ড বাংলাদেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ সরবরাহকারী।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের অর্ধেক বন্ধ করতে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডকে দুটি ৮০০ মেগাওয়াট ইউনিটের একটি বন্ধ করতে হয়েছিল। এমতাবস্থায় আগামী সময়ে বাংলাদেশ টাকা পরিশোধ না করলে দেশে বড় ধরনের বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিতে পারে।
আদানি পাওয়ারের কাছে বাংলাদেশের পাওনা ৮৫০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৭,২০০ কোটি টাকা)।