ভারতীয় রেলওয়ে এশিয়ার বৃহত্তম রেলপথ এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলপথ হিসাবে বিবেচিত হয়।আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে রেলওয়েতে অনেক ধরণের কোচ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এসি কোচ, স্লিপার কোচ এবং জেনারেল কোচ।যাতায়াতের সময় এই রেলওয়ের বগিগুলোর রঙ থাকে ভিন্ন ভিন্ন। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন প্রতিটি বাক্সের আলাদা রঙ থাকে?ভারতীয় রেলওয়েতে নীল রঙের কোচ বেশি দেখা যায়। এই কোচগুলোকে বলা হয় ইন্টিগ্রেল কোচ। এই কোচগুলি এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সাথে সংযুক্ত। এগুলো লোহা দিয়ে তৈরি।ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি তামিলনাড়ুর চেন্নাইতে অবস্থিত। ভারতীয় রেলে সাধারণ, এসি, স্লিপার, ডেমু, মেমু ধরণের কোচ রয়েছে। এর জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নীল রং ব্যবহার করা হয়।সবুজ রঙের কামরা ব্যবহার করা হয় গরিব রথে। মিটারগেজ ট্রেনে বাদামি রঙের কামরা ব্যবহার করা হয়।কিছু রেলওয়ে জোন তাদের জোনে ট্রেনের জন্য রং বেছে নিয়েছে। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন রং দেখা যায়। রেলপথে বৈচিত্র্য আনতে এই রংগুলো ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।লাল রং ব্যবহার করা হয় বিশেষ ধরনের বিনে। এই লাল রঙের বাক্সগুলি ২০০০ সালে জার্মানি থেকে ভারতে আনা হয়েছিল। এই ধরনের কামরাকে 'লিংক হফম্যান বুশ' (এলএইচবি) বলা হয়।এই বিনগুলি অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি এবং অন্যান্য বিনের তুলনায় ওজনে হালকা। তাই তাদের গতি বেশি। এই ধরনের কোচের ট্রেনের গতি ১৬০ কিমি প্রতি ঘন্টা থেকে ২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।ভারতীয় রেলওয়ে এলএইচবি রাজধানী এক্সপ্রেস, এলএইচবি শতাব্দী এক্সপ্রেস, এলএইচবি তেজস এক্সপ্রেস, এলএইচবি ডাবল ডেকার, এলএইচবি হামসফর এবং এলএইচবি গতিমান সহ বেশ কয়েকটি ট্রেনের জন্য বিভিন্ন এলএইচবি কোচ চালু করেছে।ট্রেনে ভ্রমণের সুবিধার কারণে দেশের লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করে। এছাড়াও, বাস এবং প্লেনের তুলনায় ট্রেন ভ্রমণ সস্তা।(ছবি সৌজন্যে: আর্কাইভ ছবি)