উত্তরপ্রদেশের হাথরসে সৎসঙ্গ চলাকালীন পদদলিত হয়ে এখন পর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। (@নারায়ণ সাকার হরি /এফবি)এই সৎসংঘের আয়োজন করেছিলেন স্বঘোষিত বাবা নারায়ণ সাকার বিশ্বাস হরি ওরফে ভোলে বাবা। দুর্ঘটনার পর থেকে বাবা পলাতক। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাবার আসল নাম সুরজপাল সিং এবং বাবা হওয়ার আগে তিনি জেলও গিয়েছিলেন।হাথরস ওয়ালে বাবার গল্প সিনেমার গল্পের চেয়ে কম নয়। বাবা ভক্তদের বলেন যে তিনি পুলিশের কাছ থেকে স্বেচ্ছা অবসর (ভিআরএস) নিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি বাবা ভক্তদের কাছে দাবি করেছেন যে তিনি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতেও (আইবি) কাজ করেছেন।নারায়ণ সাকার বিশ্বাস হরি ওরফে ভোলে বাবা অর্থাৎ সুরজপাল ইটাহ জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন কাসগঞ্জ জেলার পাটিয়ালীর বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশে কাজ করার সময়, তিনি প্রথমে লোকাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (LIU) পদে ছিলেন।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ২৮ বছর আগে একটি শ্লীলতাহানির মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর বাবাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।এরপর সুরজপালকে পুলিশের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। শুধু তাই নয়, ইটাহর পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমারের বক্তব্য দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, শ্লীলতাহানির মামলায় সুরজপাল দীর্ঘদিন ধরে ইটাহ জেলে বন্দি ছিলেন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নিজের ইমেজ পাল্টে 'বাবা'।যাইহোক, পুলিশ চাকুরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পরে, তিনি আদালতে যান এবং আদালত তাঁকে চাকরিতে পুনর্বহাল করলেও ২০০২ সালে, সুরজপাল ভিআরএস নেন।ভিআরএস নেওয়ার পর সুরজপাল 'ভোলে বাবা' নাম ধরেন। সৎসঙ্গের সময়, তাঁর স্ত্রীও তাঁর সঙ্গে থাকেন, যাঁকে ভক্তরা 'মাতাশ্রী' বলে ডাকে। যদি মিডিয়া রিপোর্ট বিশ্বাস করা হয়, সুরজপাল তাঁর নিজ গ্রামে ৩০ বিঘা জমিতে একটি আশ্রম তৈরি করেছেন।উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি বিক্রম সিংয়ের মতে, বাবার বিরুদ্ধে ৬-৭টি ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে। এর পাশাপাশি বাবার বিরুদ্ধে যৌন শোষণের অভিযোগও উঠেছে। বাবার বিরুদ্ধে আগ্রা, ইটাহ, কাসগঞ্জ, ফারুখাবাদ থেকে রাজস্থানের দৌসা পর্যন্ত মামলা রয়েছে।