নভেল করোনাভাইরাসের (COVID-19) বিরুদ্ধে দেশের লড়াইকে মজবুত করতে নিজেদের বেশ কিছু ট্রেনকে অস্থায়ী কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রে পরিণত করল ভারতীয় রেল। গত ২২ মার্চ থেকে ভারতীয় রেল-এর যাত্রী পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ছবি: তাশি তোবগিয়াল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
গোটা ট্রেনকে বানিয়ে ফেলা হয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগী এবং তাঁদের দেখভাল যাঁরা করবেন, সেই চিকিৎসাকর্মীদের জন্য হোল্ডিং সেন্টার। কয়েকদিন আগেই আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় কিছু এমন জায়গা চিহ্নিত করেন যেখানে ট্রেনের কামরা দাঁড় করিয়ে রাখা যায়, এবং নিশ্চিত করেন যে কামরাগুলিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা যায়। ছবি: তাশি তোবগিয়াল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বর্তমানে ব্যবহৃত বেশ কিছু কোচকে ওয়ার্ড বানিয়ে ফেলা হয়েছে, যেখানে যেসব রোগীকে কোয়ারান্টাইন করা প্রয়োজন, তাঁদের খাদ্য এবং চিকিৎসা দুইই প্রদান করা যাবে। ছবি: তাশি তোবগিয়াল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বিভিন্ন জোন থেকে কামরা নিয়ে এসে জুড়ে দেওয়া হয়েছে মূল কোচের সঙ্গে, এবং সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত হওয়ার পর পরিণত হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ডে। ছবি: তাশি তোবগিয়াল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
রোগী, নার্স, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য চিহ্নিত হয়েছে পৃথক পৃথক কেবিন, এবং সেইমতো লেবেল সাঁটা হয়েছে দরজায়। ছবি: তাশি তোবগিয়াল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান বি কে যাদব জানিয়েছিলেন, "আমরা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছি কী কী লাগবে, এবং তার ইতিবাচক ও নেতিবাচক, দুই দিকই খতিয়ে দেখছি। কাউকে যদি কোয়ারান্টাইন বা আইসোলেশনে রাখতে হয়, তবে তাঁকে যাতে ভরপেট খাওয়ানো যায়, সেই কারণে আমাদের প্যান্ট্রি কার-এর স্টক মজুত রাখার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে চাই আমরা। সবরকম ভাবে যাতে সরকারে সহায়তা করা যায়, সেদিকেই এগোচ্ছি আমরা।"
সারা ভারতের ১৭ টি জোন থেকে মোট ৬৩৭ টি কামরা ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে তাদের মূল জোনে, আরও উন্নত রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে। ছবি: তাশি তোবগিয়াল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস