Advertisment
প্রতিবেদন Photos

Same Sex Marriage: বিশ্বের এই দেশগুলিতে সমলিঙ্গে বিয়ে বৈধ

ভারতে সমকামী বিবাহ নিয়ে বিতর্ক চললেও বিশ্বের ৩২টি দেশ ইতিমধ্যেই সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দিয়েছে৷

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
LGBTQ

তাইওয়ান - 2019 সালে, তাইওয়ান এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমকামী বিয়েকে বৈধতা দেয়। 17 মে, 2019 তারিখে, আদালতের নির্দেশের পরে, তাইওয়ানের সংসদ এই বিষয়ে একটি আইন পাস করে। তাইওয়ানের সাংবিধানিক আদালতের 2017 সালের একটি রায়ের পর, আদালত একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার মধ্যে বিবাহের ঐতিহ্যগত সংজ্ঞা পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে। এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের জন্য আইনসভাকে দুই বছর সময় দেওয়া হয়েছিল।

সমকামী বিয়ের মামলায় দীর্ঘ দিন পর রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সমকামী বিবাহকে সুপ্রিম কোর্ট স্বীকৃতি দেয়নি। আমাদের এখতিয়ারে আসে না বলে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে।
LGBTQ
ভারতে সমকামী বিবাহ নিয়ে বিতর্ক চললেও বিশ্বের ৩২টি দেশ ইতিমধ্যেই সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ এর মধ্যে ১০টি দেশের আদালত এই ধরনের বিয়েকে স্বীকৃতি দেয়, বাকি ২২টি দেশে এটি আইন দ্বারা অনুমোদিত।
LGBTQ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র - মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ২৬ জুন, ২০১৫-এ 'Obergefell v. হজের ক্ষেত্রে, পাঁচ থেকে চারটি ভোট সমকামী বিয়েকে বৈধতা দিয়েছে। সমস্ত ৫০ মার্কিন রাজ্য আইন দ্বারা এই ধরনের বিবাহ অনুমোদন. আদালত বলেছিল যে শুধুমাত্র বিষমকামী দম্পতিদের মধ্যে বিবাহ সীমাবদ্ধ করা সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে, যা সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। এছাড়াও, ৩২টি রাজ্য ইতিমধ্যেই সমকামী বিয়ের অনুমতি দিয়েছে। ২০০৩ সালে, ম্যাসাচুসেটস প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সমকামী বিবাহকে বৈধতা দেয়।
LGBTQ
তাইওয়ান - ২০১৯ সালে, তাইওয়ান এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমকামী বিয়েকে বৈধতা দেয়। ১৭ মে, ২০১৯ তারিখে, আদালতের নির্দেশের পরে, তাইওয়ানের সংসদ এই বিষয়ে একটি আইন পাস করে। তাইওয়ানের সাংবিধানিক আদালতের ২০১৭ সালের একটি রায়ের পর, আদালত একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার মধ্যে বিবাহের ঐতিহ্যগত সংজ্ঞা পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে। এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের জন্য আইনসভাকে দুই বছর সময় দেওয়া হয়েছিল।
LGBTQ
কোস্টারিকা - কোস্টারিকা উত্তর আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেয়। ২০১৮ সালে, সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক হিসাবে সমকামী বিবাহের উপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় এবং আইন প্রণয়নের নির্দেশ দেয়। ২৬ মে, ২০২০-এ, কোস্টারিকা সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি আইন পাস করেছে।
LGBTQ
দক্ষিণ আফ্রিকা - দক্ষিণ আফ্রিকার সুপ্রিম কোর্টও রায় দিয়েছে যে তাঁর দেশের বিবাহ আইন সমান অধিকারের সাংবিধানিক গ্যারান্টি লঙ্ঘন করেছে, তাই সংসদ ৩০ নভেম্বর, ২০০৬-এ সমকামী বিবাহকে বৈধ করে। কিন্তু এই আইনের সমালোচনার পর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকেও এ ধরনের বিয়ে ঠেকাতে স্বাধীনতা দেওয়া হয়।
LGBTQ
অস্ট্রিয়া - অস্ট্রিয়ার সাংবিধানিক আদালত ২০১৭ সালে সমকামী বিবাহকে বৈধতা দিয়েছে, বলেছে যে বিবাহের সমতা বৈষম্যমূলক। ১ জানুয়ারী, ২০১৯ সাল থেকে সমকামী বিবাহ স্বীকৃত হয়েছে।
LGBTQ
অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড - অস্ট্রেলিয়ায়, ২০১৭ সালে একটি গণভোটের পরে, সংসদ সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি আইন পাস করেছে। এই গণভোটে ৬২ শতাংশ মানুষ আইনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আয়ারল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডে অনুরূপ ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে LGBTQ সম্প্রদায়ের বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত হয়েছিল।
LGBTQ
আর্জেন্টিনা - আর্জেন্টিনা ল্যাটিন আমেরিকার প্রথম দেশ হয়ে এই ধরনের আইন পাস করেছে। ১৫ জুলাই, ২০১০-এ, আর্জেন্টিনা সমকামী বিবাহের অনুমতি দেওয়ার জন্য বিশ্বের দশম দেশ হয়ে ওঠে। জাতীয় আইন পাশ হওয়ার আগে, কিছু শহর এবং স্থানীয় স্ব-শাসিত সংস্থা সমকামী দম্পতিদের এটি করার অনুমতি দিয়েছিল।
কানাডা - কানাডার ফেডারেল এবং প্রাদেশিক সরকার LGBTQ দম্পতিদের বিয়ে বৈধ করার পর ১৯৯৯ সাল থেকে সমকামী দম্পতিরা আইন দ্বারা সুরক্ষিত। এরপর কানাডা জুড়ে বিবাহ আইন করার আন্দোলন হয়। ১৩টির মধ্যে 9টি রাজ্য এই ধরনের আইনের জোর দাবি জানিয়েছে। তারপর ২০ জুলাই, ২০০৫-এ, কানাডার পার্লামেন্ট জাতীয় পর্যায়ে আইনটি পাস করে এবং এটি সমগ্র দেশে প্রয়োগ করে।
জার্মানি - জুন ৩০, ২০১৭, জার্মানি ১৫তম ইউরোপীয় দেশ হয়ে সমকামী দম্পতিদের বিয়ে করার অনুমতি দিয়ে একটি আইন পাস করে৷ অ্যাঞ্জেলা মার্কেল আইনটি পাসের জন্য সংসদে ভোট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মার্কেল ক্ষমতাসীন খ্রিস্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের সদস্যদের তাদের বিবেক দিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। এবার ৩৯৩ ভোটের মধ্যে ২২৬টি ভোট পড়েছে বিয়ের পক্ষে। রক্ষণশীল ব্লকের ৭০ জনেরও বেশি সদস্য মার্কেলের প্রস্তাবিত বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। (এই দেশগুলিতে সমকামী বিবাহ স্বীকৃত (ছবি - ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস))
LGBTQ Same Sex marriage
Advertisment