/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/534613936_24351803927818966_5421975427440649373_n-2025-08-20-16-59-00.jpg)
নাচে-গানে পুজোর আনন্দ
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/534532111_24351806941151998_757712314965320554_n-2025-08-20-16-59-35.jpg)
টাইম স্কোয়ারে দুর্গাপুজো!
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে শ্রীময়ী লিখেছেন, 'নিউইয়র্কে টাইমস্কোয়ারে দুর্গাপূজা। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর প্রযোজনায় ও ফালাক দার পরিচালনায় হইহুল্লোড় করে একটি ফাটাফাটি পুজোর গানে শুটিং করলাম। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে যতই দেখছি ততই অবাক হচ্ছি এবং অনেক কিছু শিখছি। আমি ভাবি, মানুষ এখন অল্প দিনে কাজ করে নিজেদেরকে নিয়ে নানানরকম কত বড় বড় কথাবার্তা বলে ফ্যান্টাসিতে থাকে স্টারডাম দেখায় নিজেদেরকে স্টার ভাবতে শুরু করে, এমনকী নিজের পিঠ নিজেই চাপড়ায়। ফ্যান বেস তৈরি করে নিজেদের প্রমোশন করে। আমি ঋতুদির সঙ্গে প্রথম কাজ করছি। অন্য সময় আড্ডা মেরেছি, মনের কথা শেয়ার করেছি।'
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/535917779_24351806101152082_5235089939829666377_n-2025-08-20-16-59-35.jpg)
কাজের প্রস্তাব
শ্রীময়ীর সংযোজন, 'আমাকে যখন ঋতুদি কাজের অফারটা করে তখন খুব টেনশনে ছিলাম। আমি ভাবছিলাম ঋতুদি ফ্লোরে কেমন হবে। সত্যি কথা আমার ভয় লাগছিল কারণ আমি বাড়িতে একরকম দেখেছি, কাঞ্চনের মুখে শুনেছি, ঋতুদি ফ্লোরে খুব পেশাদার একজন শিল্পী। আর ঋতুদির অভিনয় নিয়ে কথা বলার সাহস আমার নেই। কী ভয়ংকর সাংঘাতিক অভিনেত্রী ঋতুদির সিনেমাগুলোই সে কথা বলে দেয়। সেই ভয় নিয়েই শুটিংয়ে পৌঁছলাম। '
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/536494042_24351806457818713_8693429115533375707_n-2025-08-20-16-59-35.jpg)
সেটে পৌঁছনোর পর
অভিনেত্রী আরও বলেন, 'মেকআপ ভ্যানে বসে যখন রেডি হচ্ছি তখনও আমি একাই রেডি হচ্ছিলাম। কারণ বাকিদের কলটাইম পরের দিকে ছিল। লাঞ্চটাইমে ঋতুদির ছায়াসঙ্গিনী পিয়ালী এল এবং দেখলাম একটা প্লেটে আমার জন্য ভাত, ইলিশ মাছ, ভেটকি মাছ, আলু ভাজা, আলু সেদ্ধ সুন্দর করে সাজিয়ে বলল ঋতুদি তোমার জন্য পাঠিয়েছে। আমি প্রথমেই অবাক হয়ে গেলাম। ঋতুদির আগের দিন ১০২ জ্বর ছিল। গলা ব্যথা, গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছিল না। সেই অসুস্থতা নিয়ে আমাদের কলটাইমের অনেক আগে পৌঁছে সকাল থেকে শুটিং করছে। তার ওপর অতগুলো চেঞ্জ। এর মাঝে রান্না!'
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/535482751_24351804327818926_8080023079843931835_n-2025-08-20-16-59-36.jpg)
ঋতুতে মুগ্ধ শ্রীময়ী
শ্রীময়ী ঋতুপর্ণা প্রসঙ্গে বলেন, 'এতকাল দেখেছি মেইন হিরোইন নিজেদের কস্টিউম,মেকআপ, হেয়ার সবটা একটু আলাদা রাখতে চায়। প্রোডাকশন থেকে বলেই দেওয়া থাকে এই কালারগুলো অ্যাভয়েড করবে, এই হেয়ার স্টাইল অ্যাভয়েড করবে, কারণ ওটা শুধুমাত্র হিরোইন করবে। আমি যখন শেষ পর্যন্ত ডিজাইনারকে বলে নিজের মতো তৈরি হলাম আমি ঋতুদিকে দেখে অবাক হয়ে গেলাম। উনি নিজে আমার লুক ,আমার কস্টিউম, সবটা নিয়ে এত প্রশংসা করল! বারবার সবাইকে বলছে 'কি সুন্দরী লাগছে শ্রীময়ী কে দেখ' এবং তার আগের দিন থেকে শুধু আমার নয় সব কলাকুশলীর লুক, শাড়ি জুয়েলারি, কী ভাবে সাজবে, সবটা নিজে ঠিক করেছে।'
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/534932425_24351805181152174_9095420129857503292_n-2025-08-20-16-59-36.jpg)
শট-এর মাঝে
শ্রীময়ী ওই পোস্টে লিখছেন, 'আজকের দিনে স্টাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে। পুরো প্রস্তুতির পর তাঁদের ডাকা হয়। আমাদের যখন শুটিং চলছিল তখন আমি, চৈতি দি, সঙ্গশ্রী দি ছিলাম সেটে। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত কে দেখলাম আমাদের প্রত্যেকের আলাদাভাবে কী করে শট নেওয়া যায়, সোলো এবং ঋতুদির সঙ্গে সেই বিষয়ে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলছে। আমি সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম। আমি ভাবলাম একজন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী, এত বড় স্টার, মেগা স্টার, তাঁর ঝুলিতে এত ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা। তাঁর তো ফ্লোরে এসে নিজের শট দিয়ে চলে যাওয়ার কথা। একটা মিউজিক অ্যালবামের মুখ্য চরিত্র তো উনিই। কিন্তু দেখলাম ফ্লোরে বসে প্রত্যেকের আলাদা শট নেওয়ানো, নিজের মতো করে তাঁর সঙ্গে সহযোগীতা করে পুরো গানটার থিম ক্রিয়েট করল।'
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/534536851_24351804907818868_3983627445509921894_n-2025-08-20-16-59-36.jpg)
পেশাদার ঋতুপর্ণা
পেশাদারিত্বের তারিফ করে বলেন, 'সকলকে আলাদাভাবে সুযোগ দিয়ে সবার প্যাকআপের পর কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজে শট দিয়ে গেল। বলল, তোদের তো প্যাকআপ, ভ্যানে এ বস আমি শট দিয়ে আসছি। অনেক হয়ত বলবেন নিজের প্রোডাকশনের জন্য। কিন্তু না বিশ্বাস করুন নিজের প্রোডাকশন বলে আমাকে নিজের খাবার থেকে শেয়ার নাও করতে পারতো। নিজের স্টারডামটা ভুলে প্রত্যেক কলাকুশলী কে সুবিধা দিতে এবং ফ্লোরে সেই সম্মান দিতে অনেক বড় মনের দরকার হয়। আমি ঋতুদিকে বাড়িতে যা দেখেছি ফ্লোরেও তাই দেখলাম। ঋতুদির মধ্যে কোন ইনসিকিউরিটি নেই। না আছে কোন জটিলতা, মনটা খুব স্বচ্ছ। তাই হয়তো ঋতুদি আজও এত সফল এবং দৃঢ়তার সাথে বাংলা তথা ভারতবর্ষের ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে আছে। '
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/536642166_24351806887818670_216222345232111297_n-2025-08-20-16-59-36.jpg)
ঋতুপর্ণার প্রশংসায় শ্রীময়ী
কাঞ্চন ঘরনির উপলব্ধি, 'উনি এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন স্টার-সুপারস্টার- মেগাস্টার- ব্লকবাস্টার সবকিছুর ঊর্ধে ভাল মনের মানুষ হওয়া জরুরি। ওঁর শিক্ষা, সহবত ,পড়াশোনা এটাও বুঝিয়ে দেয় মানুষকে যদি ভালোবেসে আপন করে নেওয়া যায় তাহলে মানুষের জীবনেও তোমার গ্রহণযোগ্যতা এমনিই আসবে। তার জন্য আলাদা করে কসরতের প্রয়োজন হয় না। তাই হয়তো ঋতু দি আজও বাংলা সিনেমার ইন্ডাস্ট্রি হয়েও, একজন প্রচার বিমুখ মানুষ। আমার সঙ্গে যদি ঋতুদির আলাপ না হত আমি হয়তো একটা ভাল মানুষের সান্নিধ্য মিস করতাম।'
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/534988641_24351806454485380_8957893773104246957_n-2025-08-20-16-59-36.jpg)
টিম নিয়ে উচ্ছ্বসিত শ্রীময়ী
শ্রীময়ী পোস্টের শেষভাগে লিখছেন, 'প্রথমবার আমি চৈতিদির সঙ্গে কাজ করলাম। খুব ভাল একজন অভিনেত্রী, ওঁর সঙ্গে আলাপ হয়ে মনে হল মন থেকে উনি এখনও ষোড়শী। পুরো টিম অনবদ্য, প্রত্যেকের ব্যবহার অসম্ভব ভাল। খুব মজা করে হইহুল্লোড় করে নাচে গানে আনন্দে শুটিংটা যে কখন শেষ হয়ে গেল সেটা বোঝাই গেল না।'