New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/10/Laxmi-cover.jpg)
এই বছর সব পুজোই যেন অন্যরকম। দুর্গা পূজার রেশ কাটতে না কাটতে লক্ষী পুজা। এই লক্ষী পুজার বাজার করতেই গলদঘর্ম অবস্থা সাধারণ মানুষের। কুমারটুলিতে অনান্যবারের থেকে অনেক কম সংখ্যায় লক্ষী ঠাকুর তৈরি করা হয়েছে। আসলে এই বছরের শুরু থেকে লকডাউন, আম্ফান, করোনা এসবের জন্যে অর্থ সঙ্কটে পড়েন অনেক শিল্পীরা। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
এই বছর সব পুজোই যেন অন্যরকম। দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতে লক্ষ্মীপুজো। এই লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতেই গলদঘর্ম অবস্থা সাধারণ মানুষের। কুমোরটুলিতে অন্যান্য বারের থেকে অনেক কম সংখ্যায় লক্ষ্মী ঠাকুর তৈরি করা হয়েছে। আসলে এই বছরের শুরু থেকে লকডাউন, আমফান,, করোনা এসবের জন্যে অর্থ সঙ্কটে পড়েন অনেক শিল্পীরা। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ এর ফলে বেশিরভাগ কারিগর প্রতিমা তৈরির কাজ বাদ দিয়ে পিপিই কিট সেলাইয়ের কাজ শুরু করে। যদিও করোনা মহামারীর জন্যে এই বছর দুর্গাপুজো হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। এর জন্যেই এই সব ধরনের প্রতিমা তৈরির তোড়জোড় ছিল অনেকটাই কম। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আরাধনা করা হয়। এই বছর নিয়ম সব কিছুরই বদলে গেছে। এই বছর পুজো হচ্ছে কার্তিক মাসে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পত্তির দেবী। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ এই বছর মানুষের আর্থিক সঙ্কটই প্রবল। ফুল-ফলে হাত ছোঁয়ানোর জো নেই। আনাজ আগুন। সরা হোক বা প্রতিমা, তারও দর চড়া। কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনার প্রস্তুতিতে হাত পুড়ছে সাধারণ গৃহস্থের। তাই অনেকে এই বছর নমঃ নমঃ করেই পুজো সারবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ পদ্মকুঁড়িও ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারে। ক'দিন আগেই দুর্গা পুজোয় অবশ্য দাম ছিল সাধ্যের মধ্যে—২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে। কুমোরটুলির সরু-সরু গলিতে প্রতিমা গড়ার স্টুডিওগুলো যেন খাঁ খাঁ করছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজোর আগে থেকে সময়টা এই এলাকা একেবারে গমগম করে। লক্ষ্মী ঠাকুর কিনতে ছুটে আসেন অনেক মানুষ এই বছর তার কিছুই নেই। গোটা এলাকা জুড়ে ভয়ঙ্কর এক শূন্যতা। এই বছর অনেক দুর্গা মূর্তি মাটির প্রলেপ দেওয়া অবস্থাতেই পরে আছে। ছোট সাইজের দুর্গাকেই লক্ষ্মী ঠাকুরে রূপান্তর করা হয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ দুর্গা মূর্তির পাশাপাশি বিশ্বকর্মা, লক্ষ্মী, জগদ্ধাত্রী তৈরি করে বিক্রি করা কুমোরটুলির শিল্পীদের আসল ব্যবসা। এই বছর করোনায় তার সব কিছুই শেষ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমোরটুলিরই প্রবীণ শিল্পী নন্দ পাল। বিশ্বকর্মা পুজোতে যে পরিমাণ ঠাকুর বিক্রি হওয়ার কথা ছিল তার কিছুই হয়নি। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ লক্ষ্মী ঠাকুরের ক্ষেত্রে সামান্য একটু বিক্রি বাড়লেও যতটা আশা করেছিলেন ততটা হচ্ছে না। কুমোরটুলির শিল্পীদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেন বহু সংখ্যক কারিগর। জোগাড়ের কাজ করা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। দুইয়ে মিলিয়ে তিন হাজারের বেশি। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ এই কারিগররা প্রধানত আসেন নদিয়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ থেকে। এই ক'মাস স্টুডিয়োতে থেকেই কাজ করেন। যে শিল্পীর কাছে থাকেন, সাধারণত তিনিই শ্রমিকদের জন্য দু'বেলার খাবারের ব্যবস্থা করেন। তবে এই বছর বেশিরভাগ কারিগরকে ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ যারা রয়ে গেছেন তাঁদের সঠিক পারিশ্রমিক দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে মালিকদের। তার সঙ্গে বাজারে আনাজপাতির দাম বাড়তে শুরু করেছে তাঁতে আরও নাজেহাল অবস্থায় পড়েছেন সকলে। লক্ষ্মীপুজোর বাজারও যে এমন হবে তা জানা ছিল না কুমোরটুলির শিল্পীদের। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ ছোট সাইজের লক্ষ্মীর দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তার থেকে একটু বড় ১৩০ থেকে ১৫০। এরকম দামের মধ্যে লক্ষ্মী বিক্রি হলেও কেনার মানুষও খুব কম। স্টুডিওতেই সারিবদ্ধ ভাবে বুধবার রাত পর্যন্ত পরেছিল লক্ষ্মী প্রতিমা। মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন লক্ষ্মীর আশীর্বাদ যেন হারিয়ে গিয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ দুর্গাপুজো কোনওমতে পার হয়েছে তবুও কুমোরটুলির কয়েকশো শিল্পী আর বাইরে থেকে আসা কয়েক হাজার কারিগর প্রতিমা বানানো বাদ দিয়ে এখন পিপিই সেলাইয়ের কাজ করছেন। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ