New Update
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে নির্বাচনী প্রচার। এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন আর দেওয়াল দখলের পালা। কিছুদিন পর কলকাতা সহ তার আশে পাশের সব পাড়ার দেওয়ালে চোখে পড়বে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচার। কিন্তু কলকাতার একটা বিশেষ পাড়ার দেওয়াল থাকবে এই সমস্ত থেকে একদম আলাদা। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ কোনও বাড়ির দেওয়ালে থাকবে না কোনও রাজনীতির রং। শুধু থাকবে সত্যজিৎ থেকে হ্যারি পটার, সুপারম্যান থেকে বাঁটুল দি গ্রেট। পুরো এলাকাজুড়ে দেওয়ালগুলো যেন জীবন্ত এক ক্যানভাস। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ এই বিশেষ পাড়াটি অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের পাড়া। গড়িয়ার থেকে একটু ভিতরে ব্রহ্মপুর প্লেস। এই ব্রহ্মপুর প্লেসেরই বাসিন্দা অনির্বাণের উদ্যোগেই এক অভিনব ক্যানভাসে সেজে উঠেছে তাঁর এই পাড়াটি। ছিমছাম নিরীহ একটি পাড়া এই ব্রহ্মপুর প্লেস। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ ছোট ছোট কয়েকটা গলি মিলে একটা পাড়া। আর সেই পাড়া আজ মুখে মুখে রং ছবি পাড়া নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। পুরসভার রেকর্ডে এমন অভিনব কোন পাড়ার নাম পাওয়া যাবে না। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ তবে বর্তমানে মানুষের মুখে মুখে তার প্রচার এতটাই যে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন এমন মডেল পাড়া চাক্ষুষ করতে। হঠাৎ এরকম করে একটি পাড়া কিভাবে সেজে উঠলো? আসলে শুরুটা হয়েছিল পাড়ার দুর্গাপুজোর সময়। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ পুজোর মিটিংয়ে এ পাড়ার বাসিন্দা অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য প্রস্তাব দেন পুরো পাড়াটা সাজিয়ে তুললে কেমন হয়? সেই শুরু। একে একে প্রতিটি বাড়ির অনুমতি আদায় করা। তারপর অনির্বাণই ডেকে আনলেন কিছু পরিচিত বন্ধু শিল্পীকে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ এনারাই মোট ৯,৪৩৮ বর্গফুট জায়গা গত তিন মাসের পরিশ্রমে রঙিন করেছেন। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শিল্পী অরিজিৎ দত্ত, অরুণ মণ্ডল, ত্রিগুণা শঙ্কর, ও সৌরভ পাল। পাড়ায় ঢুকতেই লেখা আছে রং ছবি পাড়া। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ পাড়ার দেওয়ালে কোথাও লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের বেদনাগাথা, তুলে ধরা হয়েছে আবার কোথাও হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলার কিশলয় বইয়ের ছবি। লকডাউন আর ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে অনির্বাণের মাথায় এই ভাবনা চিন্তা আসে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ কঠিন সময়ে এই পাড়ার সবাই একে অপরের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন সেখান থেকেই প্রতিবেশীদের আত্মীয় হয়ে ওঠা ছাপ ফেলেছিল সবার মনে। এরপর পুজোর মিটিংয়ে তাঁর এই ভাবনার চিন্তা কথা জানালে ক্লাবের সকলে রাজী হয়ে যান। সকলের প্রচেষ্টায় এটি এখন রং ছবি পাড়া নামে পরিচিত। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ পাড়ার সকলে চাঁদা তুলে নিজেদের উদ্যোগে রং তুলি কিনে শিল্পীদের হাঁতে তুলে দেন। পাড়ার বাসিন্দা অজয় দাস, তাঁর কথায় এই ব্রহ্মপুর প্লেসের আগে তেমন কোনও পরিচিতি ছিলনা। এখন নতুন এই কর্মকাণ্ডে অনেক দূর দূর থেকে লোক দেখতে আসেন। নিজের পাড়া নিয়ে এখন বেশ গর্ব হয়। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ ১০ বছর ধরে এই পাড়ায় আছেন নসিমা বিবি। তিনি বললেন, এত বছর পাড়ায় আছি ভোটের আগে রাজনীতির দেওয়াল লিখন দেখতাম ভালো লাগতো না। এখন এত সুন্দরভাবে পাড়া রঙ্গিনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ দেওয়ালে আঁকা পেইন্টিংগুলো যেন সুন্দর থাকে তাঁর জন্যে এলাকার বাসিন্দা নিজেরাই তা পরিষ্কার পরিছন্ন করে রাখে। ২০২০ সালে হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্ররা, যেমন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সুশান্ত সিং রাজপুত, গিরিশ কারনাডদের ছবিও রয়েছে দেওয়ালজুড়ে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ প্রসঙ্গত, ঝাড়গ্রামের খোয়াব গাঁয়ের অনুকরণে নিজের পাড়াকে সুন্দর করতে চেয়েছিলেন অনির্বাণ। ইঁট, কাঠ, কংক্রিটের জঙ্গলে একটু নান্দনিকতার ছোঁয়া দেওয়ার এই কর্মযজ্ঞ প্রায় তিন মাস ধরে চলেছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ গতবছর দুর্গাপুজোর পঞ্চমী থেকে কাজ শুরু করেন চার শিল্পী। শেষ হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। এরপর থেকে এই পাড়ার নাম রং ছবি পাড়া সকলের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ