উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজো মানেই ঐতিহ্যের বাহার। ডুব স্মৃতির পাতায়। সময় পাল্টেছে, কিন্তু, তাল মিলিয়ে রয়ে গিয়েছে পুজোরে রীতিনীতি। দৃষ্টান্ত কলকাতার লাহা পরিবার। ছবি: শশী ঘোষ
আজ‚ লাহা পরিবারের বহু শাখাপ্রশাখা। ছড়িয়ে আছে উত্তর কলকাতার নানা প্রান্তে। পালা করে দুর্গাপুজো হয় সবার বাড়িতে। অষ্টমীতে কেমন হয় চোরবাগানের লাহা বাড়ির পুজো- দেখবো তারই নানা কোলাজ। ছবি: শশী ঘোষ
এই পরিবারে মা দুর্গা দশভুজা হয়ে আসেন না। তিনি আসেন হরগৌরী রূপে।এই রূপের আরেক নাম শিবদুর্গা। মা উমা বসেন স্বামী শিবের কোল। শিবের বাহু বেষ্টন করে থাকে তাঁকে। অপূর্ব প্রেম। সেই প্রেমের বাতাবরণ বিরাজ করছে লাহা বাড়ির আনাচে। ছবি: শশী ঘোষ
সুবর্ণবণিক বাড়ির অষ্টমী পুজোর বড় নত পড়ে সদবাদের পুষ্পাঞ্জলি দেখার মতো, চোখ জুড়ানো। লাহা বাড়িতেও দেখা গেল সেই ছবি। ছবি: শশী ঘোষ
এরপর ঠাকুর দালানের মাঝে ১০৮ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন বাড়ির বউ, মেয়েরা। ছবি: শশী ঘোষ
আলোর এই অর্ঘ্য দেখতে অনবদ্য। ছবি: শশী ঘোষ
হয় ধুনুচি পোড়ান। বাড়ির বউ, মেয়েদের দু’হাতে ও মাথায় মোটা গামছা বেঁধে তার উপর ধুনুচি বসানো হয়। সেখানেই মাকে ধুনো পোড়ানোর মাধ্যমে মায়ের কাছে প্রার্থনা নিবেদন করা হয়ে থাকে। উত্তর কলকাতার সাবেকি বেনে পরিবারের এ এক নিজস্ব ঐতিহ্য। ছবি: শশী ঘোষ
উত্তর কলকাতার সাবেকি বেনে পরিবারের এ এক নিজস্ব ঐতিহ্য। ছবি: শশী ঘোষ
এই বাড়ির বিশেষত্ব তাদের নিবেদিত ভোগে। যেখানে নানা রকমের নাড়ু যেমন- চুমোড় নাড়ু, নারকেল নাড়ু, তিলের নাড়ু, মুগের নাড়ু, ছোলার নাড়ু, বুটের নাড়ু (যা কিনা তৈরি চালগুঁড়ো-নারকোল-গুড়-খোয়া দিয়ে), বেলা পিঠে, পান গজা, জিবে গজা, পাঁরাকি এবং লুচি, কচুরি, কুমড়োর ছক্কা, বেগুনি, ফুলুরি, পটল ভাজা, আলু ভাজা। বহু প্রকার পুরি লাড্ডু সহ ডাবের জল দ্বারা মাকে নৈবেদ্য সাজিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়ে থাকে। ছবি: শশী ঘোষ
উত্তরের বনেদি বাড়ির মধ্যে অন্যতম চোরবাগানের চ্যাটার্জী পরিবারের দুর্গাপুজোও। অষ্টমীর সকালে সেবাড়িও ঐতিহ্যের ছটায় পরিপূর্ণ। ছবি: শশী ঘোষ