-
পৃথিবীর সব দেয়ালই সম্ভাবনাময় ক্যানভাস। এই ক্যানভাসই হয়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন, প্রচলিত নীতি কিংবা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের শৈল্পিক রূপ। কখনও হয়ে ওঠে নাগরিক অধিকার আদায়ের হাতিয়ার, কখনও উদ্ধত স্লোগান। পৃথিবীর সব দেওয়ালই গ্রাফিতি-শিল্পীদের কাছে একেকটা ক্যানভাস। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে এখন পর্যন্ত গ্রাফিতি এমন এক শক্তিশালী মাধ্যম, যার দ্বারা গভীর বার্তা সহজে বুঝিয়ে দেওয়া যায়। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
-
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার আগারগাঁওয়ে রাস্তার ধারে একটি গ্রাফিতি দেখা গিয়েছিল। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
এরপর আস্তে আস্তে সেই গ্রাফিতি ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশে। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ -
গ্রাফিতিটি ছিল সুবোধ নামের একটি অজানা ছেলেকে নিয়ে। ছবিতে দেখা যায় এক যুবককে, পরনে ছেঁড়া জিনসের প্যান্ট, খালি গায়ে লোহার রড ধরে দাঁড়িয়ে আছে। তার পাশে লেখা, ‘সুবোধ এখন জেলে, পাপবোধ নিশ্চিন্তে বাস করছে মানুষের মনে'। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
-
এই গ্রাফিতি আসলে কী? সহজ ভাষায়, গ্রাফিতি বলতে দেওয়ালে আঁকা ছবিকে বোঝায়। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
-
গ্রাফিতি হলো সাধারণ কোনো চিত্রকর্ম বা দেওয়াল লিখন, যাতে শিল্পীর সূক্ষ্ম বার্তা লুকোনো থাকে। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
-
দেশে দেশে সামাজিক অবিচার, সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা যুদ্ধের বিরুদ্ধে শিল্পীরা গ্রাফিতির মাধ্যমে তাঁদের বার্তা সমাজের কাছে পৌঁছে দিয়ে থাকেন। শান্তির পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান ফুটে ওঠে কোনো কোনো দেওয়ালচিত্রে। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
-
ব্যঙ্গ-বিদ্রূপাত্মক চিত্রের মাধ্যমে সমাজের বাস্তবতাও শিল্পী তাঁর তুলির আঁচড়ে নিখুঁতভাবে তুলে আনেন। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
-
মানব সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে গ্রাফিতিও বিকশিত হয়েছে, বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমানের অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
-
প্রাচীন গুহাচিত্র থেকে শুরু করে আজকের তরুণ প্রজন্ম। এরা সকলে মনে করে গ্রাফিতি এই মুহূর্তে সব থেকে শক্তিশালী এক হাতিয়ার। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
-
দেশ সময় কালের গণ্ডি পেড়িয়ে ভারতেও গ্রাফিতি এখন বেশ জনপ্রিয়। একটা সময়ে কলেজের ছাত্র রাজনীতিতে চোখে পড়ত লিফলেট আর দেওয়াল লিখন। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
-
এখন এর বিবর্তন হয়ে গ্রাফিতি হয়ে উঠেছে সাধারণ চিত্রকর্ম থেকে প্রতিবাদের ভাষা। যাদবপুর প্রেসিডেন্সির মত বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিককালের ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার উপর আঁকা গ্রাফিতি বেশ নজরকাড়ার মত। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
-
কলেজের একাধিক প্রাক্তনীর কথায়, ২০১৪-১৫ সালের আগে পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি কিংবা যাদবপুরে গ্রাফিতি তেমন একটা নজরে আসত না। এখন কোনও বার্তা সহজে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে পড়ুয়ারা গ্রাফিতিকেই বেছে নিচ্ছে। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
-
প্রেসিডেন্সির ছাত্র প্রীতম দেবনাথ, সৌরেন মল্লিক। এঁদের হাতে আঁকা গ্রাফিতিই চোখে পড়ে প্রেসির দেওয়ালে। কলেজ হস্টেলের দাবি থেকে শুরু করে এনআরসি নিয়ে অন্দোলন, সবই তারা ফুটিয়ে তুলছে দেওয়াল ছবিতে। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
-
তাঁদের কথায়, গ্রাফিতি আঁকার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পড়ুয়াদের উদ্বুদ্ধ করা। একটা লিফলেটের লেখা দেখে কারোর মধ্যে যতটা না আগ্রহ জন্মায়, তার থেকে বেশী আগ্রহ জন্মায় একটা ছবি দেখে। তারা সেই কাজটাই করছে। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
-
একটা গ্রাফিতি শুধু স্টেনসিল এবং স্প্রের আঁচড় নয়। গ্রাফিতি আঁকতে প্রয়োজন পড়ে অনেকগুলো মাথার সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর চিন্তা ভাবনার। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
-
নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কথা বলা গ্রাফিতি শিল্পী ব্যাঙ্কসি জগৎবিখ্যাত হয়েছেন তাঁর আঁকার জন্যে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই তাঁর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বে। তাঁরই দেখানো পথেই এখন হাঁটছে বর্তমান প্রজন্ম। এক্সপ্রেস ফোটো – শশী ঘোষ
