বাংলায় কী সত্যিই এখনও করোনাভাইরাস রয়েছে? উত্তরের হাতিবাগান থেকে মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেট, দক্ষিণের গড়িয়াহাট- তৃতীয়ায় কেনাকাটার থিক থিকে ভিড় দেখে এই প্রশ্নই দস্তুর। বালাই নেই দূরত্ববিধির, অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। ট্রাম লাইন থেকে চওড়া রাস্তা, কার্যত সবই উৎসবমুখর বাঙালির দখলে। ছবি- শশী ঘোষ
বড় বড় দোকান থেকে ফুটের ছোট হকার, দেদার কেরানাকার বিকিকিনি। পছন্দের জামাকাপড় হাতে নিয়ে চলছে দর-দাম। যা এককথায় করোনার রক্তচক্ষুকেও হার মানাবে। ছবি- শশী ঘোষ
ভিড় এতটাই যে যান নিয়ন্ত্রণে হিমশিম অবস্থা পুলিশের। কালো মাথার সারিতে থমকে গিয়েছে বাস-ট্যাক্সির চাকা। ছবি- শশী ঘোষ
লকডাউনে ধসে গিয়েছিল ব্যবসা। গত বছর পুজোয় সেই ক্ষতি পূরণ হয়নি। এবারও বোধহয় ব্যবসা জমবে না। এমনটাই আশঙ্কা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু, করোনাসুরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুজোর কেনাকাটায় চেনা ভিড়। বিক্রিবাটাও হচ্ছে ভালই। ফলে খুশি ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা। ছবি- শশী ঘোষ
করোনার সতর্কতা হিসাবে এবারও পুজোমণ্ডপে যাওয়া যাবে না। অঞ্জলি দিতে, সিদুঁর খেলতে দুই ডোজ ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক। বন্ধ রেড রোডে পুজো কার্নিভাল। রাজ্য প্রশাসনের তরফেও নির্দেশিকা জারি হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে যে, কলকাতা হাইকোর্টের রায় পুজোর কেনাকাটায় একচুলও প্রভাব ফেলতে পারেনি। ছবি: শশী ঘোষ
উৎসবে বাংলায় দৈনিক করোনা আক্রান্তের হার প্রায় ৮০০। বাড়ছে সংক্রমণ। পুজোরে আনন্দের রেশ কাটতেই সংক্রমণের মাত্রা আবারও হু হু করে বাড়তে পারে। আশঙ্কায় চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা। আর সেই আশঙ্কাই যেন উস্কে উঠছে কেনাকাটার এই ভিড় চিত্রে। ছবি- শশী ঘোষ