
দেশের গভীরতম হাওড়া মেট্রো স্টেশন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অপেক্ষা শুধু গ্রিন সিগন্যালের। এই মুহূর্তে স্টেশনের আনাচে কানাচে জুড়ে চলছে ফিনিশিং টাচ। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

সূত্রের খবর, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সেই কাজও শেষ হয়ে যাবে। এতেই রেলপথে জুড়ে যাবে দুই ব্যস্ত রেল টার্মিনাল হাওড়া ও শিয়ালদহ। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

হাওড়া থেকে ধর্মতলা যেতে সময় লাগবে ৮ মিনিট। হাওড়া থেকে শিয়ালদহ ১১ মিনিট। আগামী এক বছরে এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই হাওড়া স্টেশন থেকে যাত্রীরা পৌছে যাবেন কলকাতার এই সব ব্যস্ত জায়গায়। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

হাওড়া স্টেশনে যাতায়াত করতে ২০০টি সিঁড়ি ভেঙে ওঠা নামা করতে হবে। এই মুহূর্তে এটি দেশের সব থেকে ‘গভীরতম’ স্টেশন। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

ইতিমধ্যেই হাওড়া মেট্রো স্টেশনকে ‘দ্য ডিপেস্ট সাবওয়ে স্টেশন’ -এর তকমা দিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড। এতকাল দিল্লি মেট্রোর হাউজ খাস এই তকমা পেয়ে এসেছে। যার গভীরতা ৩০ মিটার। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

তাদের টেক্কা দিয়ে হাওড়ার মেট্রো স্টেশন ৩৩ মিটার (১০৫ ফুট) গভীরে তৈরি হওয়ায় মিলল ‘গভীরতম’র তকমা। হাওড়া থেকে ট্রেন ছেড়ে গঙ্গার তলা দিয়ে এসে মহাকরণ স্টেশনে দাঁড়াবে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

তার পরবর্তী স্টেশন হবে এসপ্ল্যানেড। হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত দু’দিকের লাইন পাতার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

দিন কয়েক আগে মহাকরণ পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে তৃতীয় লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজও। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত লাইনে বিদ্যুৎ দেওয়ার কাজ চলছে। আর সেটা হয়ে গেলেই ট্রায়াল রান করার ক্ষেত্রে তেমন কোনও সমস্যা থাকবে না। হাওড়ায় সুড়ঙ্গ খননের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

হাওড়ার এই মেট্রো স্টেশন থেকে দুটি টানেল- ‘রচনা’ এবং ‘প্রেরণা’ গঙ্গার নীচে দিয়ে গিয়ে বড়বাজার এলাকায় উঠেছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

গঙ্গায় প্রায় ১৫ মিটার নীচে দিয়ে যাওয়া দুটি টানেলের প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০০ মিটার। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে এই দুটি টানেলের তৈরির কাজ ২০১৬ সালে শুরু হওয়ার পর শেষ হয় ২০১৯ সালে। বর্তমানে স্টেশনের মূল কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

তবে আর্কিটেকচারাল, ইলেকট্রিক্যাল এবং ইন্টারনাল কাজ কিছুটা বাকি রয়েছে। সেটাই চলছে দ্রুতগতিতে। মেট্রো সূত্রে খবর, যাত্রীসংখ্যার কথা বিবেচনা করে হাওড়া মেট্রো স্টেশনে চারটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

টানেলের মধ্যেই রাখা হয়েছে এমার্জেন্সি এক্সিটের ব্যবস্থা। কোনও প্রয়োজন পড়লে সেখান দিয়েই যাত্রীদের গঙ্গার নীচে থেকে বের করা যাবে। এছাড়া ১২টি ফায়ার এক্সিট পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

বর্তমানে সমস্ত কাজই প্রায় শেষ পর্যায়ে চলছে। এই স্টেশন তৈরি করতে গিয়ে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে নির্মাণকারী সংস্থাকে। হুগলি নদী কাছে থাকার দরুণ, জলের চাপে একটা সময় কাজও বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ