New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/WhatsApp-Image-2019-12-24-at-21.35.09-2.jpeg)
আলো-আঁধারির মায়ায় বড়দিনে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল
ঐতিহ্যময় সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালে প্রতি বছরের মতোই সাজানো বড়দিনের ট্যাবলো, যেখানে বলা হয় যিশু খ্রিস্টের জন্মলগ্নের কাহিনি বিশাল এই গির্জার নির্মাণকার্য সম্পন্ন হয় ১৮৪৭ সালে, এবং কলকাতার অতি পরিচিত স্থাপত্যের মধ্যে এটি নিঃসন্দেহে একটি। বড়দিনের আলোর জাদুকরী ছোঁয়ায় সেজে উঠেছে শতাব্দি-প্রাচীন এই ক্যাথিড্রাল। বছরের অন্যান্য দিনেও সর্বধর্মের মানুষের জন্য খোলা এই ক্যাথিড্রালের দ্বার। যদিও বড়দিনের সময় স্বাভাবিকভাবেই কিছু বিশেষ য়াচার অনুষ্ঠান পালিত হয় এখানে। বলা হয়, যিশুর জন্মের সময় তাঁর বাবা জোসেফ এবং মা মেরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কিছু মেষপালক। তবে অলৌকিক এই শিশুর জন্মের আগাম খবর পেয়ে জন্মের কিছু পরেই তার জন্য বিভিন্ন উপহার নিয়ে হাজির হন তিন বিশিষ্ট ব্যক্তি, যাঁদের বলা হয় 'মেজাই' একদিকে যেমন শান্ত, সমাহিত সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল, অন্যদিকে তেমনই কলরবে উচ্ছল পার্ক স্ট্রিটের কলকাতা ক্রিসমাস কার্নিভাল উৎসাহী জনতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাজির ভারী পুলিশ বাহিনী যেদিকে দুচোখ যায়, শুধু কালো কালো মাথা। না, ভুল বলা হলো, লাল-কালো মাথা! ভিড়ের মধ্যেও আলাদা হয়ে থেকে যান কিছু মানুষ কলকাতার এই বড়দিন প্রীতি, বা বড়দিনে পার্ক স্ট্রিটের এই চেহারা, নতুন কিছু নয়। শহরের অনেক ঐতিহ্যের মধ্যে এটি একটি 'তোমরা বলছ বলে পরে নিচ্ছি বটে, কিন্তু এই টুপিটা আমার পছন্দ নয়, নয়, নয়!' ভিড় সামলাতে পথে নেমেছে কলকাতা পুলিশের সদ্য গঠিত সশস্ত্র নারীবাহিনী 'ওয়ারিয়রর্স' কে বলবে, বছরের বাকি ৩৬৪ দিনে এটি কলকাতার ব্যস্ততম রাজপথগুলির একটি? যত বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে, তত বেড়েছে মানুষের উৎসাহ, তত থিকথিকে হয়েছে ভিড় দেখে মনে হচ্ছে না, নবমীর রাত? এখানেই বোধহয় যত মত, তত পথের সার্থকতা