লকডাউন সত্ত্বেও অব্যাহত ছিল ব্রিজ সংস্কারের কাজ। কারণ যানজট এড়িয়ে এটাই মোক্ষম সময় বল মনে করেছেন রাজ্যের পূর্ত দপ্তর। জানা গিয়েছে, বেলগাছিয়া সেতুর পরিকাঠামো উন্নত করার পাশাপশি এবং টালা ও মাঝেরহাট ব্রিজের পুনর্নির্মাণের কাজও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে রাজ্য। টালা ব্রিজের সমস্যা সমাধান সরকারের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের অগ্রাধিকারের তালিকায়।
টানা কাজ চলেছে লকডাউনে। শহরবাসীর অজান্তেই ভ্যানিস হয়ে গিয়েছে। রকব্রেকার ও জেসিবি মেশিন দিয়ে টানা চার মাস ধরে কাজ করে সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছে টাবা ব্রিজ।
বছরের শুরুতেই পূর্ব রেলের সদর দফতর ফেয়ারলি প্লেসে রাজ্য ও রেলের আধিকারিকদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, টালা ব্রিজ ভাঙা-গড়ায় টাস্ক ফোর্স গঠন করে দ্রুত কাজ করবে রাজ্য ও রেল। লকডাউনের সময়কে সদব্যবহার করায় কাজের গতি বেড়েছে বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল।
টালা ব্রিজ পুনর্নির্মাণে প্রায় চারশো কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বরাদ্দ হয়েছে। আপাতত ভাঙার কাজ সম্পূর্ণ শেষ। এই কাজে তাঁদের সাহায্য করেছে পূর্ব রেলও।
এলাকাবাসীদের কথায়, চেনাই যাচ্ছে না। এলাকার ভোল বদলে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, দরপত্র অনুযায়ী বরাত পাওয়া সংস্থাকে আগামী ১০ বছরের জন্য নয়া ব্রিজের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হবে। নবগঠিত টালা ব্রিজ হবে চার লেনের। এই ব্রিজ গড়তে খরচ পড়বে ২৬৮ কোটি টাকা। সরকারি সূত্রে খবর, কাজ শুরুর এক বছরের মধ্যেই গড়ে উঠবে টালা নতুন টালা ব্রিজ।