Advertisment
কলকাতা Kolkata-News

কলকাতার এই গলিতেই রাতারাতি নতুন হয় পুরনো ব্যবহৃত জিন্স

পুরনো জিন্সের ভোল বদলে, নতুন বলে তা বিক্রি করা হচ্ছে দোকান, এমনকী শপিং মলেও। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। সেকেন্ড হ্যান্ড জিন্সকে নতুন করে তৈরি হয় এই গলিতে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
কলকাতার এই গলিতেই রাতারাতি নতুন হয় পুরনো ব্যবহৃত জিন্স

নামজাদা শপিং মল থেকে আপনি যে জিন্স কিনছেন, তা কি আদৌ নতুন? এমন প্রশ্ন যদি জাগে মনে, তবে খুব একটা ভুল হবে না। কেননা, এই শহরেই এমন এলাকা রয়েছে, যেখানে পুরোনো জিন্সের ভোল বদলে, নতুন বলে তা বিক্রি করা হচ্ছে দোকান, এমনকী শপিং মলেও। অবিশ্বাস হলেও সত্যি। সেকেন্ড হ্যান্ড জিন্সকে নতুন করে তৈরই হয় এই গলিতে। মহম্মদ আলি পার্ক আর কলজে স্ট্রিটের মাঝের গলি নীলমাধব সেন লেন। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ

  • নামজাদা শপিং মল থেকে আপনি যে জিন্স কিনছেন, তা কি আদৌ নতুন? এমন প্রশ্ন যদি জাগে মনে, তবে খুব একটা ভুল হবে না। কেন না, এই শহরেই এমন এলাকা রয়েছে, যেখানে পুরনো জিন্সের ভোল বদলে, নতুন বলে তা বিক্রি করা হচ্ছে দোকান, এমনকী শপিং মলেও। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। সেকেন্ড হ্যান্ড জিন্সকে নতুন করে তৈরি হয় এই গলিতে। মহম্মদ আলি পার্ক আর কলেজ স্ট্রিটের মাঝের গলি নীলমাধব সেন লেন। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • এই নীলমাধব সেন লেনে শ'খানেক পরিবারের সংসার চলে সেকেন্ড জিন্সকে নতুন তৈরি করে। এলাকার নাম লন্ড্রি গলি। শুকোতে দেওয়া জিন্সেই ঢাকা পড়ে যায় গোটা এলাকা। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • একদম ভোরে গিরিশ পার্কের হাটে পুরোনো জিন্সের দরদামে ব্যস্ত থাকেন এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা। নীলমাধব সেন লেনে গিয়ে দেখা যাবে, প্রায় প্রতিটি গলিতেই ঝুলছে নীল-কালো রঙের জিন্স। জিন্স ধোয়ার কাজ সারছেন কয়েকজন। পাশেই চলছে জিন্সে রঙ করা, সেলাই। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • পাঁচ বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মহম্মদ শেখ গাজী। তাঁর বক্তব্য, এই ব্যবসায় ঝক্কি যেমন রয়েছে, তেমন পরিশ্রমও কম নয়। প্রতিদিন ভোর চারটের মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পাঁচটার ভিতরে গিরিশ পার্কের হাটে যেতে হয়। গাজীর কথায়, 'এখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত, এমনকী অসম থেকে প্রচুর পুরনো জিন্স আসে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • সে জিন্সই আমরা ২০-৪০ টাকা পিসে কিনি। এর পরে সেই জিন্স ধোয়ার জন্য সাফাইওয়ালাকে দিতে হয় ১৫ টাকা। তাতে রং মিশিয়ে শুকোতে দেওয়া হয়। জিন্স ছেঁড়া-ফাটা থাকলে, তা সেলাইয়ের পরে পালিশ করা হয়। এ জন্য পিস প্রতি খরচ পড়ে ৮-১০ টাকা।' এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • জিন্স ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বাবলুর কথায়, ' এখানের বেশীরভাগ কর্মচারি বিহারের বাসিন্দা। লকডাউনের সময় সকলের খুব সমস্যা হয়েছিল। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • এখন সারাদিন যা পরিশ্রম হয়, সেই তুলনায় আয় খুব কম হচ্ছে' এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা জিন্স পাঠিয়ে দেন ধর্মতলা-হাতিবাগান মার্কেট চত্বরে। এমনকী কেরালা, ঝাড়খণ্ড, বিহারেও এই জিন্স বিক্রি হয়। ব্যবসায়ীদের দাবি, জিন্স পিছু খরচ হয় ৫০-৬০ টাকা। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
  • তা রাজ্যের মধ্যে বিক্রি হয় দ্বিগুণ দামে। ভিন্ রাজ্যে গেলে লাভের অঙ্ক বাড়ে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তাঁরা বলছেন, একদিন হাট যেতে না-পারলেই ক্রেতাকে ঠিক সময়ে চাহিদামতো জিনিস দেওয়া সম্ভব হয় না। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
kolkata online shopping
Advertisment