লক গেট ব্রিজ ধরার আগে বিরাট ট্রাফিক জ্যামের ঝক্কি পোহানো রোজকার সমস্যা হয়ে উঠেছে নিত্যযাত্রীদের। অফিস টাইমে রাজ বল্লভ পাড়া থেকে লক গেট ব্রিজের মুখ পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগছে পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট। টালা ব্রিজ দিয়ে যে সমস্ত গাড়ি যাতায়াত করত তারা এখন শ্যামবাজারের পর রাজবল্লভ পাড়া, বাগবাজার মোর হয়ে গিরিশ ঘোষের বাড়ির পাশ দিয়ে সোজা উঠছে লক গেট ব্রিজে। অন্যদিকে, যে সমস্ত গাড়ি চিৎপুর ব্রিজ থেকে শ্যামবাজারের দিকে যাচ্ছে, তাদেরকেও দীর্ঘ সিগন্যাল আটকাতে হচ্ছে। যার ফলে বিপুল জ্যাম পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে নিত্য যাত্রীদের।
এই সমস্যা থেকে খানিক স্বস্তি পেতে চিৎপুর রেল ইয়ার্ডের কাছে লেভেল ক্রসিং তৈরি করা হয়েছে। যার কাজ প্রায় শেষের পথে। মাস খানেকের মধ্যেই দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করেছে পুরসভা এবং রেল।
জানা যাচ্ছে, আগামী রবিবার, ১ মার্চ থেকে লেভেল ক্রসিং যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে দেখা গেল, লেবেল ক্রসিং বসে গিয়েছে, গেটম্যানের জন্য ঘরও প্রস্তুত, কিন্তু চিৎপুরের দিক থেকে গিয়ে রেল লাইন ক্রস করার পর যে রাস্তায় উঠতে হবে সেই রাস্তাটিতে এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে।
রেলের অংশে প্রায় ২০০ মিটার রাস্তা রয়েছে। যা ১৫ ইঞ্চির সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে। দু প্রান্তের রাস্তা ১৫ ফুট চওড়া।
মনে করা হচ্ছে, রাস্তা চালু হয়ে গেলে চিৎপুর লকগেট সেতুর উপর চাপ কমবে। বিকল্প পথের কারণে উত্তরের সঙ্গে মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার যাতায়াত মসৃণ হবে। কিন্তু, প্রাণকৃষ্ণ মুখার্জি রোডের মুখে নতুন সিগন্যাল সিস্টেম তৈরি করতে হবে।
কাজেই, অফিস টাইমে রাজ বল্লভ পাড়া থেকে লক গেট ব্রিজ ধরতে যে জ্যামের সৃষ্টি হচ্ছে তার হাত থেকে মুক্তি কতটা পাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
তবে রবিবারের মধ্যে রাস্তা খোলা সম্ভব কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সম্প্রতি যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলছে। মূলত, পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করবে এই রাস্তা দিয়ে। রাস্তা নির্মাণে নিযুক্ত কলকাতা পুরসভার আধিকারিক বলেন, চিৎপুর ব্রিজের পাশ দিয়ে গিয়ে ব্রজদয়াল সাহা রোড থেকে রেললাইন টপকে প্রাণকৃষ্ণ মুখার্জি রোড ধরতে হবে গাড়িকে।
ওই এলাকায় ভার প্রাপ্তে থাকা ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছেন,"নতুন রাস্তা খুলে জ্যাম খানিক হালকা হতে পারে। কারণ চিৎপুর থেকে আসা গাড়ির দুটি ভাগ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে, আশা করা যায় লম্বা সিগন্যাল থাকবে না। এখন দেখা যাক কী হয়"।
মনে করা হচ্ছে, রাস্তা চালু হয়ে গেলে চিৎপুর লকগেট সেতুর উপর চাপ কমবে। বিকল্প পথের কারণে উত্তরের সঙ্গে মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার যাতায়াত মসৃণ হবে। কিন্তু, প্রাণকৃষ্ণ মুখার্জি রোডের মুখে নতুন সিগ্ন্যাল সিস্টেম তৈরি করতে হবে।