New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/College-street-book-shop.jpg)
লেখাপড়া কিংবা আড্ডায় কলেজ স্ট্রীটের সঙ্গে বাঙ্গালির এক অলিখিত সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে। বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে বইয়ের গন্ধ, আর এই বইয়ের খনি আমাদের কলেজ স্ট্রিট বই পাড়া। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম 'সেকেন্ড-হ্যান্ড' বইয়ের বাজার এবং ভারতের বৃহত্তম বইয়ের বাজার হ'ল এটি। কলেজ স্ট্রিটের ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/shop-1-7-1.jpg)
লেখাপড়া কিংবা আড্ডায় কলেজ স্ট্রিটের সঙ্গে বাঙালির এক অলিখিত সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে। বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে বইয়ের গন্ধ, আর এই বইয়ের খনি আমাদের কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম 'সেকেন্ড-হ্যান্ড' বইয়ের বাজার এবং ভারতের বৃহত্তম বইয়ের বাজার হ'ল এটি। কলেজ স্ট্রিটের ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/2..jpg)
এই বইপাড়ায় তখন এত বইয়ের দোকান ছিল না। যদি প্রশ্ন করা হয়, এই বই পাড়ার সব থেকে পুরনো এবং সচল বইয়ের দোকান কোনটি? তবে বলে রাখি তার মধ্যে একটি দোকান ছাড়া আর কোনও দোকানেরই এখন অস্তিত্ব নেই। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/3..jpg)
যে দোকানটি এখনও সচল তাকে হেরিটেজ কমিশন দেশের এক নম্বর হেরিটেজ বুকশপের মর্যাদা দিয়েছে। দোকানটির নাম ৫৪/৩ কলেজ স্ট্রিটের দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোং প্রাইভেট লিমিটেড। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/4..jpg)
২০০ বছরের পুরনো তিনতলা বাড়িটি শুধু বইয়ে ঠাসা। ১৮৮৬ সালে এটি প্রথম কলেজ স্ট্রিটের বইয়ের দোকান। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/5..jpg)
খুলনা থেকে আসার পথে যশোরে গিরিশচন্দ্র দাশগুপ্ত প্রাণের বন্ধু মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্যকে বলেন, কলেজ স্ট্রিটেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল কলেজ রয়েছে। খুব ইচ্ছে, ওই রাস্তায় একটা বইয়ের দোকান দেওয়া। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/6..jpg)
হোমিওপ্যাথ হিসেবে তখন মহেশচন্দ্রের খুব নাম ডাক হয়েছে। তিনি বললেন, তুমি দোকান দাও। আমি কলকাতায় প্র্যাকটিস করব। গিরিশচন্দ্র মাত্র ৩৪টি বই সম্বল করে ওই বাড়িতেই বসালেন কলেজ স্ট্রিটের প্রথম বই–দোকান। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/7..jpg)
দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোং প্রাইভেট লিমিটেডের কর্ণধার গিরিশচন্দ্র মারা যান ৬২ বছর বয়সে। তাঁর ছেলে ক্ষিতীশচন্দ্র এই ব্যবসার হাল ধরেন। পরে ১৯৬২ সালে তার মৃত্যুর পর, তাঁর জায়গায় আসেন ছেলে অমূল্যচন্দ্র। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/8..jpg)
ওই ষাটের দশকেই অমূল্যচন্দ্র দোকানটিকে এক আশ্চর্য সংগ্রহশালা করে তোলেন। কলকাতা সহ তার আশে পাশের অনেক জায়গা থেকে পণ্ডিত ও অধ্যাপকেরা আসতেন বিদেশি ও দেশি ইংরেজি ভাষায় লেখা যে–কোনও বিষয়ের বই কিনতে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/9..jpg)
এই দোকানে বই পাওয়া না গেলে তা হলে দেশে কোথাও পাওয়া যাবে না। বিদেশে চিঠি পাঠিয়ে আনাতে হবে। তখন এই দোকানে ৬০/৬২ জন কর্মচারী তিনতলাজুড়ে কাজ করত। এখন কর্মচারী সংখ্যা কমে গিয়েছে অনেকটা। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/10..jpg)
অমুল্যবাবুর ছোট ছেলে অরবিন্দ দাশগুপ্ত এখন দোকানে বসেন। তাঁর কথায়, অমূল্যবাবু কলেজ স্ট্রিটে 'বইওয়ালা' নামে পরিচিত ছিল। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/11..jpg)
সেই সময় তাঁর খদ্দের ছিলেন ইংরাজির কিংবদন্তি অধ্যাপক তারক সেন, ইতিহাসের অধ্যাপক সুশোভন সরকার, ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপক শহীদুল্লাহ্, ইতিহাসের অমলেশ ত্রিপাঠী ও দিলীপ বিশ্বাস। বাংলার অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদনমোহন কুমার। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/12..jpg)
ড. অমর্ত্য সেন এবং তাঁর সহপাঠী একদা প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী গান্ধীর পরামর্শদাতা সুখময় চক্রবর্তী। সেই সব দিনের ইতিহাস নিয়ে এখনও চলছে দোকানটি। সেই সময় গিরিশচন্দ্র তো ৩৪টি বই নিয়ে এ ব্যবসায় এসেছিলেন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/13..jpg)
এখন গড়ে ৭০ হাজার বই থাকে। অরবিন্দ জানালেন, 'প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ বই কিনতে এই দোকানে মানুষ ভিড় করে'। আগের থেকে কম করেও এর তিনগুণ বই প্রতিদিন বিক্রি বেড়েছে। কলেজ স্ট্রিটে এখন ফুটপাথ জুড়ে বই বিক্রি হয় সারা বছর। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ /indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/14.jpg)
ছোট বড় অনেক দোকানই রয়েছে গোটা এলাকায়। এর মাঝে ২০০ বছরের পুরনো এই বইয়ের দোকান এখন আগের মতন সচল। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us