-
দুর্গাপুজো এবং কুমোরটুলি একে অপরের পরিপূরক। এখানে বছরের পর বছর ধরে শিল্পীরা ঠাকুর বানিয়ে যাচ্ছে। কুমোরটুলিতে এমনি অনেকে আছেন যারা সারাটা জীবন ঠাকুর বানাতেই কাটিয়ে দিয়েছেন। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে তিলে তিলে শিল্পীরা গড়ে তোলেন দেবী দুর্গার প্রতিমা। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
সন্তান স্নেহে প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা চলে দিন রাত্রি।। স্টুডিওর মধ্যে একটা মাদুরের উপর বসে কাজ করে চলেন মৃৎশিল্পীর দল। দুর্গাপুজোর আসার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। এটাই দস্তুর। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
এখানকার চেনা ছবি অচেনা হয়ে গত বছর থেকে। অতিমারির জেরে কাজ বন্ধ ছিল অনেকদিন। অন্য বছরের তুলনায় গত বছর অনেক কম পরিমাণে ঠাকুর তৈরি হয়েছিল। সেই ঠাকুরও বিক্রি হয়নি কুমোরটুলিতে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
এই বছর মৃৎশিল্পীরা আশা করেছিলেন গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে যাবে। গত বছরের তুলনায় প্রতিমা তৈরির বরাতও ভাল এসেছে। তবে তা সত্ত্বেও চিন্তায় ফেলে বৃষ্টি। শারদোৎসবের মূল বিষয় যে দুর্গা প্রতিমা তার বেশ বড় একটি অংশ তৈরি হয় কলকাতার কুমোরটুলিতে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
বৈশাখ মাস থেকেই কাঠের পাটাতনের উপর বাঁশের কাঠামো বানানো হয়। তারপর খড় দিয়ে বেঁধে তাকে দেওয়া হয় প্রতিমার আদল। সবশেষে পড়ে মাটির প্রলেপ। এরপর রোদের আলোতে চলে মূর্তি শুকানোর কাজ। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে দুর্গার প্রতিমা ডাকা পড়েছে রঙিন প্ল্যাস্টিকে। নিম্নচাপের জেরে মুখ ভার কলকাতার আকাশের। প্রায় অবিরত বৃষ্টিতে মন ভাল নেই কুমোরটুলিরও। পলিথিন চাদর দিয়ে ঢেকে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে ঠিকই, কিন্তু যেন প্রাণ নেই। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
সকাল থেকে শিল্পীরা কার্যত হতোদ্যম হয়ে বসে আছেন। সকলের মুখে একটাই কথা, ‘‘এই আবহাওয়ায় কী কাজ হবে বলুন তো?’’ টানা বৃষ্টি— বিশেষত নাগাড়ে বৃষ্টিজনিত স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াই ‘ভিলেন’। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
শিল্পীদের ব্যাখ্যা, কয়েক সপ্তাহ যাবৎ সূর্যের দেখা পাওয়াই দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাখার হাওয়ায় মাটির প্রলেপ কিছুতেই শুকাতে চাইছে না। কুমোরটুলির সরু গলি এমনিতেই ঘিঞ্জি। বৃষ্টি হলে তো পুরো জায়গা অন্ধকার হয়ে যায়। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
শিল্পীরা অভিযোগ করে বলেন, ভোটের আগে সব নেতা মন্ত্রীরা এখানে আসেন জায়গা সম্প্রসারণ হবে, প্রত্যেকের ভাগের মূর্তি তৈরির ঘর সারাই করে ঝাঁ চকচকে করে কাজের সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে বলে, একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। ব্যস ওইটুকুই। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
নির্বাচন শেষ হলে সব হাওয়া হয়ে যায়। নিজেদের মাঝে মাঝে বড্ড অসহায় মনে হয়। সরু গলির ভিতর একচিলতে জায়গার মধ্যেই চলে মূর্তি গড়ার কাজ। বৃষ্টি হলে জলে থৈ থৈ করে কাজের জায়গা। অন্ধকার ঘুপচি ঘরে মশা পোকামাকড়ের কোনও কমতি নেই। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
দূর্গাপুজোর সময় জায়গার অভাবে একসঙ্গে বেশি বায়নাও করতে পারেন না মৃৎশিল্পীরা। তার উপর গত বছর থেকে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে করতে মন মানসিকতা সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কাজ ছেড়ে অন্য পেশা বেঁছে নিতে বাধ্য হয়েছেন অনেক শিল্পী। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
এই কুমারটুলির সাথে কলকাতার ইতিহাসের গভীর এক সম্পর্ক রয়েছে। তখন সবে মাত্র পলাশির যুদ্ধ হয়েছে এবং ইংরেজরা বাংলাকে নিজেদের শক্তিশালী ঘাঁটিতেও পরিণত করেছেন। কোম্পানির ডিরেক্টরের নির্দেশে হলওয়েল সাহেব পেশা ভিত্তিক বিভিন্ন অঞ্চল গড়ে তুললেন। তার মধ্যে কুমোরটুলি ছিল অন্যতম। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
কাজের আশায় গ্রামগঞ্জ থেকে কলকাতায় ভিড় জমাতে থাকলেন একাধিক মানুষজন। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া থেকে আসা মানুষেরা মৃৎশিল্পে যথেষ্ট পটু ছিলেন। তাঁদেরই বসবাস করার জায়গা ছিল এই কুমোরটুলি। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
প্রথমে এই মৃৎশিল্পীরা মাটির পুতুল নির্মাণে যথেষ্ট পারদর্শি ছিলেন। এরপর সময় যত এগিয়েছে কলকাতায় দুর্গাপুজোর জনপ্রিয়তা তত বৃদ্ধি পেয়েছে, আর সেদিন যাঁরা পুতুল নির্মাণে পটু ছিলেন, তাঁরা ধীরে ধীরে প্রতিমা নির্মাণে দক্ষ হয়ে উঠতে লাগলেন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
প্রথমে গুটিকয়েক মৃৎশিল্পী প্রতিমা নির্মাণ করতেন। কিন্তু চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মৃৎশিল্পীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এখানকার তৈরি প্রতিমা সারা বিশ্বে নামকরা। তবে বর্তমানে এই পেশায় জড়িত শিল্পীরা এখন অনেক মুখ ফিরিয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
অবিশ্রান্ত বৃষ্টির মধ্যে রঙ বেরঙের ত্রিপল প্ল্যাস্টিক চাপা রয়েছে ঠাকুর। ছাদ থেকে জল পড়ছে। খোলা আকাশের নীচে তো বটেই, এমনকী স্টুডিওর মধ্যেও পলিথিন দিয়ে ঢেকে কাজ করছেন কোনও কোনও প্রতিমাশিল্পী। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
এই জায়গায় মানুষের ভিড় এবং ব্যস্ততায় বলে দিত পুজো এসে গিয়েছে। এখন যেন প্রাণহীন। চার পাশে রং ছড়িয়ে রয়েছে হরেক রকমের ত্রিপল আর পলিথিন। তা সত্ত্বেও কুমোরটুলি যেন শিল্পীর হাতে আঁকা ক্যানভাসের মতন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
-
বৃষ্টি যেন ধূসর হয়ে যাওয়া কুমোরটুলির রং যেন আরও গভীর করে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চারপাশে বিভিন্ন রং যেন শিল্পীদের জানান দিচ্ছে আড়মোড়া ভেঙে কাজে ফেরার। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
