
দু’দিন আগেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বাস চলাচল করবে। এতে যথেষ্ট খুশি হয়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা। কিন্তু, বৃহস্পতিবার রাস্তায় বেরিয়ে চোখে পড়ল একেবারে বিপরীত ছবি। ছবি: শশী ঘোষ

স্টাফ স্পেশাল ছাড়া লোকাল ট্রেন চলাচলে জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মেট্রোতেও উঠতে পারছেন না সবাই। ফলে গণপরিবহের সব চাপটাই এখন বাসের উপর নির্ভরশীল। এই পরিস্থিতিতে সরকারি বাস পথে নামলেও, উধাও বেসরকারি বাস। চরম দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা। স্ট্যান্ড থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়- বাসের আশায় থিকথিকে ভিড়। ছবি: শশী ঘোষ

উত্তর থেকে দক্ষিণ, বাংলার সব জেলার রাস্তার ছবিও প্রায় একইরকম। একটা বাস এলেই তাতে যাত্রীদের হুড়মুড়িয়ে ওঠার চেষ্টা নজরে এসেছে। ছবি: শশী ঘোষ

যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, বেসরকারি বাস প্রায় নেই। সেই সঙ্গে যাত্রী সংখ্যার তুলনায় রাস্তায় চলা সরকারি বাসের সংখ্য অনেকটাই কম। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে পৌঁছনোর জন্য সেই অ্যাপ ক্যাবের উপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে তাঁদের। ছবি: শশী ঘোষ

সেঞ্চুরির পথে পেট্রোল-ডিজেল। ফলে আগের বাড়ায়আর বাস চালানো সম্ভব নয় বলে দাবি বাসমালিক সংগঠনগুলি। বাস্তব পরিস্থিতি বিচার করে ভাড়া বৃদ্ধির আবেদন করেছেন বাস মালিক সংগঠনগুলো। ভাড়া না বাড়লে পথে আর বাস নামানো সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি সংগঠনগুলোর। সরকারকেও চিঠি দিয়েছে তারা। ছবি: শশী ঘোষ

পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘আমি বাস মালিকদের কাছে অনুরোধ করব যাত্রীদের কথা ভেবে অন্তত বাসটা চালাতে। যেখানে প্রয়োজন সরকারি বাস ১০০ শতাংশ নামবে।’ ছবি: শশী ঘোষ

মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আগেরবার লকডাউনের পরে বাসের চাকা গড়িয়েছিল। কিন্তু ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে এবার তিনি এখনও কোনও আশ্বাসই দেননি। এদিনের অবস্থা বিচার করে সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয় কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে যাত্রী ও বেসকরারি বাস মালিকদের সংগঠন। ছবি: শশী ঘোষ