
পুজোর বাকি আর বেশিদিন নেই। করোনার তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে চোখ রাঙাছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা-বিধিকে কার্যত হেলায় উড়িয়ে ভিড় উপচে পড়ল শহরের বাজারগুলিতে। নিউ মার্কেটেই মানুষের গিজগিজ। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং উপেক্ষার পাশাপাশি অনেকে কেনাকাটা করতে বেরিয়ে মুখে মাস্কটুকুও নেই। শহরবাসীর আতঙ্ক যেন চোখের নিমেষে উধাও। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

উৎসবের মরশুমে সচেতন থাকতে হবে সমস্ত দেশের সমস্ত জনগণের, এই মর্মে রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের একাধিক জায়গায় শুরু হচ্ছে উৎসবের মরশুম। উৎসবে শামিল হতে গিয়ে যাতে নতুন করে করোনা (Covid 19) সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায়, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

চলতি মাস থেকেই দেশজুড়ে উৎসবের মরশুম। করোনার দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ বর্তমানে ওঠা নামা করছে। কিছুদিন আগে কেরলে ওনাম পালনের ফলে সেখানে সংক্রমণে ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলত সাবধান থাকতে হবে দেশবাসীকে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

কেরলের মতো পরিস্থিতি গোটা দেশে যাতে না হয় সেই জন্য আগেভাগেই সতর্কতা বজায় রাখতে হবে বাকি রাজ্যগুলিকে। এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই মানুষ বেড়িয়ে পড়েছে রাস্তায়। ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেনাকাটা করতেই এখন থেকেই যদি এমন ভিড় হয় তবে পুজোর আগে কিংবা পুজোর চার দিন কী হবে! ভিড় দেখে চিন্তিত কলকাতা পুলিশের কর্তারা। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

কিছুদিন আগে পর্যন্ত করোনা রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে এখন আবার পুজোর কেনাকাটার ভিড়। অনেকের মুখে সঠিকভাবে মাস্কও ছিল না। কেনাকাটায় মশগুল হয়ে অনেকেরই মাস্ক নেমে এসেছে থুঁতনিতে, কারও বা মাস্ক ঝুলছে কান থেকে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

এমনই এক ক্রেতার বক্তব্য, “পুজো বাঙালির আবেগ। সারা বছর চারটে দিনের জন্যে অপেক্ষা করে থাকি। এখন আর সে ভাবে করোনার প্রকোপ নেই। এছাড়া ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছে আর ভয় নেই”। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে আপাতত পুজোর বাজারের পথে পা বাড়িয়েছে আবেগপ্রবণ বাঙালি। ধীরে ধীরে পুজোর শপিং জমছে শহরে। গড়িয়াহাট কিংবা নিউ মার্কেট চত্বরে দুপুর থেকে জনসমাগম বাড়তে থাকে। অনেকেই জামা কাপড়ের সঙ্গে ম্যাচিং করে গয়নাগাটি কিনছেন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এমন বেপরোয়া ভিড় চলতে থাকলে পুজোর আগেই সংক্রমণের হার অনেকটায় বেড়ে যাবে। পুজোর হুজুগকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে তা সমস্ত কিছু দায়িত্বভার প্রশাসনের উপর ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। অনেক জায়গায় ক্রেতা এবং বিক্রেতা দু-পক্ষই আবদ্ধ জায়গায় অনেকেই অবলীলায় মাস্ক খুলে ফেলছেন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ

ক্রমাগত স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের উদ্যোগও চোখে পড়ে না। চিকিৎসকেরা তো বটেই, শহরের সচেতন নাগরিকদের বড় অংশ অবশ্য চাইছেন, পুজোর কেনাকাটার ভিড়ের কথা মাথায় রেখে আদর্শ বিধি তৈরি করা হোক। তা না হলে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করবে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ