-
কলকাতায় বেশ কিছু বছর ধরে বনেদি বাড়ির পুজো দেখা নিয়ে লোকের মধ্যে উত্সাহ বেড়েছে। এমনকি বিদেশ থেকেও অনেকে বাড়ির পুজো দেখতে আসছেন। বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে যেগুলো খুব বেশি পরিচিত সেগুলো নিয়ে বিভিন্ন কাগজ ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখালিখিও হয়। দল বেঁধে প্রচুর দর্শনার্থী ও ফটোগ্রাফার এসব বাড়িতে এসে ভিড়ও করেন। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
-
এর মধ্যে কিছু বাড়ি আছে যেগুলোর পুজো অনেক প্রাচীন এবং তাঁদের পূজার ইতিহাসও খুব চিত্তাকর্ষক, কিন্তু অনেকেই তাঁদের বাড়ির পুজো সাথে পরিচিত নয়। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
-
এমনই এক বনেদি বাড়ি মধ্যে কলকাতার বউবাজারের 'বেলু-বাড়ি'। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
-
পূর্বপুরুষের বেলজিয়াম কাচের ব্যবসার দরুন বাড়িটা 'বেলু-বাড়ি' নামে পরিচিত। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
-
১৮৮৩ সালে গোবিন্দ লাল দত্ত স্বপ্নাদেশ পান দুর্গাপূজা করার। মা দুর্গা তাঁর স্বপ্নে এসে জানান নারকেল নাড়ু সঙ্গে ধুনো দিয়ে আরধানা মা এই বাড়িতে বিরাজ করবেন। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
-
সেই থেকে এই বাড়িতে পুজো শুরু হয়। এই বনেদি বাড়ির ঠাকুরের এক বিশেষত্ব রয়েছে। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
-
খানে মা দুর্গা শান্তরুপে বিরাজিত। হর পার্বতী নামে। শিবের কোলের উপর মা বসে থাকেন। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
-
অসুরকে বধ করতে দেখা যায়না এই বাড়ির ঠাকুরকে। ঈশ্বর কালিপদ চক্রবর্তী প্রথম এই বাড়ির পুজোর পৌরহিত্য শুরু করেন। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
-
বেলু বাড়িতে এখন সপ্তম চলছে। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
-
বর্তমানে শিশির কুমার দত্ত, অনুম কুমার দত্ত, এবং সমীর কুমার দত্ত তিন ভাই মিলে পুজো করেছেন। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
-
শিশির বাবুর কথায়, কলকাতায় সে সময় তারাই প্রথম বেলজিয়াম কাঁচের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তখন বেলজিয়াম থেকে কলকাতায় কাঁচ নিয়ে এসে তা রপ্তানি করা হত ইংল্যান্ডে। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
-
ইংরেজরাই ছিল তাঁদের প্রধান খরিদ্দার। যদিও এই বেলজিয়াম কাঁচের ব্যবসার পাঠ চুকেছে বহুদিন আগে। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
এখন সকলে অন্য পেশায় চলে গিয়েছে। বেশীরভাগ বনেদি বাড়িতে মায়ের পুজো হয় অন্ন ভোগ দিয়ে। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ -
যদিও দত্ত পারিবারের পুজোতে অন্ন ভোগের চল নেই। মা দুর্গার প্রধান ভোগ এখানে মালপোয়া এবং নারকেলের নাড়ু। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
-
মহালয়ার পরদিন প্রতিপদ শুরু হতেই এই বাড়িতে আমিষ খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। দশমীর দিন পুরহিতের কনকাঞ্জলি দেওয়া হয়ে গেলে সকলে মাছ খাওয়ার পরেই ভাসান দেওয়া হয়। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
বেলুবাড়ির সব থেকে আকর্ষণীয় জিনিষ অষ্টমীর সন্ধিপুজো। এদিন এই বাড়িতে ১০৮টা প্রদীপ জ্বালানো হয়। এরপর ঠাকুরমশায় মায়ের মাথার উপর একটি ফুল রেখে দেন। সে ফুল মায়ের মাথা থেকে পরার পরেই সন্ধিপুজোর শুরু হয়। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ কলকাতার তথাকথিত বনেদি বাড়িগুলো থেকে একটু অন্যরকম কিছু বনেদি বাড়ির পুজো দেখতে আপনি ঘুরে আসতে পারেন হিদারাম ব্যনার্জী লেনের এই বেলু বাড়িতে। এক্সপ্রেস ফোটো-শশী ঘোষ
