Advertisment
সাতকাহন Photos

কলকাতায় তিন চাকায় ঘুরছেন বিগ-বি, দেখুন ফটোগ্যালারি

গাড়ির পাশাপাশি বিজয়ের আরেক মূল আকর্ষণ তাঁর টুনি লাইট লাগানো জামা। 'ইয়ারানা' ছবিতে যেমন অমিতাভ টুনি লাগানো জামা পড়েছিলেন। সেরকম একটি জামা বানানোর সখ হয়েছিল ছোটবেলায়। তখন অর্থের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। ২০১৬ সালে আট হাজার টাকা খরচ সে জামা তিনি বানিয়ে ফেলেন। সে বছর পুজোয় তিনি টুনি লাইট পরা জামা পড়ে সবাইকে তাক লাগিয় দিয়েছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Amitabh Bachchan, Kolkata, Big-B, actor, fan, Auto, Driver অমিতাভ বচ্চন, কলকাতা, বিগ-বি, অভিনেতা, ফ্যান, অনুরাগী, অটো, ড্রাইভার

বিজয় পাল তাঁর বাড়ির সামনে। ছবি- শশী ঘোষ

  • নাম বিজয় পাল। বয়স ৫০। পেশায় অটো ড্রাইভার। ছেলেবেলা থেকেই অমিতাভের বচ্চনের ফ্যান। গণেশ টকিজ থেকে ফুলবাগান রুটে গাড়ি চালান। বিজয় এবং তাঁর অটোই এখন এই রুটের মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ছবি- শশী ঘোষ
  • বচ্চন নামে পরিচিত এই অটো ড্রাইভারের আদি বাড়ি বিহারে। বাবা ছিলেন স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক। বাবার হাত ধরেই ছোট থেকে অমিতাভ বচ্চনের সিনেমা দেখতে যেতেন। সে বয়সে সকালে স্নান সেরে অমিতাভের ছবিতেই প্রথমে তিনি প্রণাম করতেন। এখনও দিন শুরুর আগে তাই করেন। ছবি- শশী ঘোষ
  • পড়াশুনার প্রতি কোন ঝোঁক ছিলনা, ফলে লেখাপড়াও বেশিদূর করে উঠতে পারেননি। টিফিনের খরচা বাঁচিয়ে বিগ-বির ছবি দেখতে যেতেন। বচ্চন অন্ত প্রাণ বিজয় দশ ফুট বাই দশ ফুট ঘরে বড় দিদি স্তুতি নন্দীর সঙ্গে থাকেন। ছোট ঘরে নিজের স্বপ্নগুলোকে যত্ন করে এখনও রাখা। ছবি- শশী ঘোষ
  • ছোট থেকে ইচ্ছে ছিল অভিনেতা হওয়ার। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্যে অনেক লোকের হাতে পায়ে ধরলেও কোনও লাভ হয়নি। ১৯৮৯ সাল থেকে কলকাতায় গাড়ি চালানো শুরু করেন। বিজয়ের ভাগ্নেই তাঁকে এই পেশায় নিয়ে আসেন। তখন থেকে এখন পর্যন্ত আপদে বিপদে সব সময়ে নিজের ভাগ্নেকে পাশে পেয়েছেন। ছবি- শশী ঘোষ
  • অমিতাভ বচ্চনকে নকল করে হাঁটা চলা, পোশাক পরার জন্য শুরুতে যারা তাঁকে উপহাস করত এখন তারাই ডেকে নিয়ে একসঙ্গে ছবি তোলেন। এই কথা বলতে বলতে বিজয় উদাস হয়ে পড়ে। তাঁর জীবনে এখন একটাই ইচ্ছে, অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে একবার দেখা করার। ছবি- শশী ঘোষ
  • একজন শিক্ষকের ছেলে অটো চালাচ্ছে, এ বিশয়টা এখনও বিড়ম্বিত করে বিজয়কে। এই নিয়ে নিজের আত্মীয় পরিজন থেকে বন্ধুবান্ধব সকলেই তাঁর নিন্দা করেন। যদিও তিনি এসব বিষয়কে কোনও দিন গুরুত্ব দেননি কোনদিনই। নিজের কাজটাই করে গেছেন। ছবি- শশী ঘোষ
  • সকাল ৮টা থেকে গাড়ি চালানো শুরু করে চলান রাত ৯টা পর্যন্ত। বিজয় তাঁর প্রথম অটো কিনেছিলেন সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে। ছবি- শশী ঘোষ
  • প্রথম গাড়ি কেনার পর সেই গাড়িকে তিনি টুনি লাইট দিয়ে আকাশের তারার মত করে সাজিয়ে ছিলেন। পরে সে গাড়ি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। এখন তিনি ভাড়ায় গাড়ি চালান। এ ছবি- শশী ঘোষ
  • গতবছর বিশ্বকর্মা পূজোয় ঝাউগাছ দিয়ে অটোটিকে সাজিয়ে ছিলেন। সে কাজের জন্য কাজে লাগিয়েছিলেন এক ফুল বিক্রেতাকে। ছবি- শশী ঘোষ
  • অটোটিকে এরকম সাজানো দেখে সবাই বাহবা দিতে বাধ্য হয়েছেন। কলকাতা পুলিশের অনেকেই তাঁর প্রশংসাও করেছেন। ছবি- শশী ঘোষ
  • এ বছর বিশ্বকর্মা পুজোর সময়ে গাছ বিক্রি করা একটি ছেলেকে অটোর ছাদের মাথায় ঘাস লাগিয়ে ছোট ফুটবল মাঠের আকার দিয়েছেন। গতবার যত মানুষ তাঁর গাড়ি দেখেছিলেন গত কয়েকমাসে তার দ্বিগুণ মানুষ তার গাড়ির প্রশংসা করেছেন। এখন সবার কাছে বিজয় এক পরিচিত মুখ। ছবি- শশী ঘোষ
  • গাড়ির পাশাপাশি বিজয়ের আরেক আকর্ষণ তাঁর টুনি লাইট লাগানো জামা। 'ইয়ারানা' ছবিতে যেমন অমিতাভ টুনি লাগানো জামা পড়েছিলেন। সেরকম একটি জামা বানানোর সখ হয়েছিল ছোটবেলায়। তখন অর্থের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। ২০১৬ সালে আট হাজার টাকা খরচ করে সে জামা তিনি বানিয়ে ফেলেন। সে বছর পুজোয় তিনি টুনি লাইট লাগানো জামা পরে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। পুজোতে সবাই প্রতিমা দেখা ছেড়ে তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ বলেই ফেলেন অমিতাভ কলকাতায় ঠাকুর দেখতে চলে এসেছেন। ছবি- শশী ঘোষ
  • নিজের পোশাক আশাকের ব্যাপারে অত্যন্ত শৌখিন বিজয়। রোজই নিত্য নতুন কোনও পোশাক পরে গাড়ি চালান। এই পোশাকও কখনও হয় কোর্ট টাই ব্লেজার। আবার কখনও পুরো ধুতি পাঞ্জাবি। ছবি- শশী ঘোষ
  • গিরিশ পার্ক মেট্রোর সামনে দাঁড়ালে অমিতাভ বচ্চনের অটো বললেই যে কেউ দেখিয়ে দেবে তাঁর অটো। বচ্চনের অটো শুনে প্যাসেঞ্জাররা প্রথমে একটু থতমত খেলেও পরে নিজেদের সামলে নিয়ে হাসতে থাকেন। অমিতাভ বচ্চনের মত আদব কায়দা সমেত অটোচালককে দেখে খুশি হয়ে ওঠেন না, এমন মানুষ পাওয়া ভার। ছবি- শশী ঘোষ
kolkata
Advertisment