Advertisment
সাতকাহন Photos

অগ্নিদগ্ধ বাগরি মার্কেটের ভিতরের দশা, দেখুন ছবিতে

একসময়ে সকালে মানুষের কোলাহলে, মাল সরবরাহের ব্যস্ততায় কাটত বাগরির দিন। আর শনিবার রাত থেকে দুঃস্বপ্নে ঘিরল সেই ইট-পাথরের দেওয়ালগুলোকেই। আর তো লেনদেন বসবে না তার কোলে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
অগ্নিদগ্ধ বাগরি মার্কেটের ভিতরের দশা, দেখুন ছবিতে

bagree after math express Photo Shashi Ghosh

  • কেমন অবস্থায় দাঁডিয়ে রয়েছে এই পোড়ো কঙ্কাল? অগ্নিবিধ্বস্ত বাগরি যেন কোনও দুর্গাপুজোর থিমের মণ্ডপ। লোকজন আসছেন, দেখছেন, ছবি তুলছেন, পুলিশ বেশিক্ষণ দাঁড়াতে দিচ্ছে না। বাগরি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের পর পুড়ে ছাই সব।
  • ঘটনার পর চারদিন অতিক্রান্ত। তবুও নেভেনি আগুন। ইতিউতি পড়ে আছে ধ্বংসস্তুপ।
  • নীরব দর্শক হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই ব্যবসায়ীদের। তাঁরা যে সর্বস্বান্ত।
  • ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া বাগরি থেকে নিজেদের শেষ সম্বলটুকু রক্ষা করতে মরিয়া ব্যবসায়ীরা। পুজোর আগে এ কোন মহামারী!
  • সর্বশক্তিমানও তো মাথা নোয়ালো প্রকৃতির কাছে। হার মানল সমস্ত প্রচেষ্টা।
  • বাগরি মার্কেটের অনর্গল ধোঁয়া সহ্য করতে করতে আগুন নেভানোর কাজ করেছেন দমকল কর্মী। হয়তো বা মনে মনে চেয়েছেন, ইন্দ্র দেব সহায় হলে এযাত্রা বেঁচে যায় কত মানুষের শেষ সম্বল।
  • অভিশপ্ত রাত থেকে দু’চোখের পাতা এক করেননি দমকল বাহিনী। অবিরাম চেষ্টা করে চলেছেন আগুনের লেলিহান শিখা থেকে যাতে বের করে আনা যায় বাগরিকে।
  • কখনও হাইড্রোলিক ল্যাডার, কখনও অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, জতুগৃহ বাগরিকে শেষ হওয়া থেকে বাঁচানোর লড়াইটা এখনও থামেনি। অতিবাহিত ৮৪ ঘন্টা।
  • বাগরি মার্কেটের আগুন ডালা থেকেই ছড়িয়েছিল কী না, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে, চলবেও। কিন্তু কোন অমোঘ মূহুর্তের কষাঘাতে এমনটা হল তার উত্তর অধরাই।
  • পরিত্যক্ত কঙ্কালসার চেহারাটা বাদে আর কিছুই বেঁচে নেই বাগরির। তবে ভবিষ্যত যে সেটাও কেড়ে নেবে, দিব্যি জানে অগ্নিবিধ্বস্ত ইমারত।
  • একসময়ে সকালে মানুষের কোলাহলে, মাল সরবরাহের ব্যস্ততায় কাটত বাগরির দিন। আর শনিবার রাত থেকে দুঃস্বপ্নে ঘিরল সেই ইট-পাথরের দেওয়ালই। আর তো লেনদেন বসবে না তার কোলে।
  • শেষ সম্বলটুকু চোখের সামনে ছাই হয়ে যেতে দেখার যন্ত্রণা চোখে মুখে ফুটে উঠেছে ওঁর। আবার তো শুরু থেকে শুরু করতে হবে।
  • মাঝেমধ্যেই উঁকি দিচ্ছে নাছোড়বান্দা আগুন, বিরাম নেই দমকল কর্মীদের। তবুও সম্বল সব হারানো মানুষের ক্ষোভ, বিষোদগার।
  • একটা হাত নেই কিন্তু ধড়ে প্রাণ তো রয়েছে। তাই দিয়েই জলন্ত ভস্মকুন্ড থেকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বেঁচে থাকার সম্বল। ওই খড় কুটো আগলে ধরার মতো।
  • প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পোডো ইমারতের একদিক থেকে আরএকদিকে যাত্রা।
  • বাগরির জানলা দিয়ে গলগল করে বেরোনো ধোঁয়াও ক্লান্ত। আশঙ্কা যেকোনও সময়ে ভেঙে যেতে পারে বহুতল।
  • বদমেজাজী আগুন নিয়ে গেল সবটা। শুধু রেখে গেল ইতিহাস হয়ে থাকার জন্য নগ্ন কিছু দেওয়াল।
  • একটা সময়ের পর মনে হয়েছিল, আগুনে সবটা পুড়ে যেতে দেওয়াই শ্রেয়। তাহলে তো শান্তি পাবেন সর্বগ্রাসী অগ্নিদেব।
  • রোমান পোলানস্কি এখানে পৌঁছতে পারলে মনের মতো সেট খুঁজে পেতেন, এমনই দশা। ঠিক যেন যুদ্ধের ছবির দৃশ্য।
  • নেভানো গেছে আগুন, তাই খুঁজে দেখছেন কিছু পড়ে আছে কিনা। নইলে ফিরতে হবে স্মৃতি আঁকড়ে।
Advertisment