-
ইলিশ নামটা শুনলেই বাঙালির পেটের ভেতর আনচান করে ওঠে। ইলিশ বাঙালির কাছে আলাদা এক সেন্টিমেন্ট! বাঙালির পাতে ইলিশ পড়া মানেই উল্লাস। আর এই ইলিশ যদি হয় বাংলাদেশের, তবে তো কথাই নেই। জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে এমনিতেই বাংলাদেশের প্রভূত গর্ব। পদ্মার ইলিশ তো মেলে শুধু এদেশেই। সার বছরই এখানে মাছ ধরা চলে। তবে বর্ষাকালে মাছ ধরা পড়ে বেশী। তখনই এপার-ওপার দু বাংলাই থাকে ইলিশ পানে চেয়ে। বাংলাদেশের ইলিশ মাছেরই ছবি ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়। ছবি- শশী ঘোষ
-
বঙ্গোপসাগরের মোহনায় কর্ণফুলী নদী। নদীর কোল ঘেঁষে শত শত জেলে নৌকো লাইন দিয়ে ভেসে আছে। এরাই সাগরে যাবে ইলিশ ধরতে। ছবি- শশী ঘোষ
-
বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশের দল মেঘনা হয়ে ভোলা-চাঁদপুর-শরীয়তপুরের পাশের নদীগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ছবি- শশী ঘোষ
-
জেলেরা এই মাছ ধরতে ১০-১৫ দিনের জন্যে সাগরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। তবে বাংলাদেশের ইলিশ সাগরের চেয়ে বেশি ধরা পড়ে মোহনায়। ছবি- শশী ঘোষ
-
বাংলাদেশের মৎস্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। ছবি- শশী ঘোষ
-
এর পেছনে মূলত ইলিশের অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল বলে গবেষকেরা মনে করছেন। গত বছর দেশে ইলিশের উৎপাদন হয়েছিল ৫ লক্ষ ১৭ হাজার টন, যার মধ্যে পদ্মার অবদান ছিল সাড়ে ৩ হাজার টন। ছবি- শশী ঘোষ
-
ইলিশের মোট উৎপাদন প্রায় তিন গুণ বাড়লেও পদ্মার অবদান কমছে। কর্ণফুলী নদীর মত মোহনায় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বেশী। ছবি- শশী ঘোষ
-
গত কয়েক বছরে রূপালি ইলিশের ঝলকে হাসি ফুটছে জেলেদের মুখে। কর্ণফুলী নদীর চাক্তাই–রাজাখালী খালের তীরে ভোর থেকে মাছের নৌকো নোঙর করা শুরু হয়। ছবি- শশী ঘোষ
-
বোট থেকে মাছ খালাসে ব্যস্ত হয়ে পড়েন শ্রমিকেরা। ছবি- শশী ঘোষ
-
ভোরের আলো ফুটতেই মাছ ধরে ফিরে আসা নৌকো থেকে চলে মাছ নামানোর কাজ। একাজেই ব্যস্ত থাকেন জেলে, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। ছবি- শশী ঘোষ
-
বড় ঠেলাগাড়ি কিংবা পিক-আপ ভ্যানে করে মাছ নিয়ে যাওয়া হয় আড়তে। ছবি- শশী ঘোষ
-
এই কর্মকাণ্ডের মাঝে কয়েকজন জেলে মাছ ধরার জালগুলি নৌকা থেকে নামিয়ে সারাই করার কাজে লেগে পড়েন। ছবি- শশী ঘোষ
-
এক কিলো ওজনের মাছ এই মুহূর্তে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। ছবি- শশী ঘোষ
-
তার চেয়ে কম ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। ছবি- শশী ঘোষ
-
বাংলাদেশে ছোট সাইজের ইলিশ ধরার ব্যাপারে কঠোর আইন রয়েছে। তাই বাজারে খুব একটা ছোট সাইজের ইলিশ চোখে পড়ে না। ছবি- শশী ঘোষ
-
কর্ণফুলী নদীর পাশেই রয়েছে মাছের আড়ত। এখানে ইলিশ কিলো দরে বিক্রির বদলে বিক্রি হয় ঝাঁকা হিসেবে, অর্থাৎ এক ঝুড়িতে পাঁচটা ইলিশ ধরে। যাদের ওজন গড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মধ্যে। এই পাঁচটিই হয়তো বিক্রি হল মাত্র ১,৫০০ থেকে ২,০০০ টাকায়। ছবি- শশী ঘোষ
