-
বরাকর নদীর ধারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আসানসোলের কাছে কল্যানেশ্বরী মন্দির। এখানে মা কালিকে শক্তি রূপে পুজো করা হত। ছবি: শশী ঘোষ
-
কথিত আছে, ৫০০ বছরের পুরনো এই মন্দিরে এক সময় মানুষ বলি দেওয়ার চল ছিল। পরবর্তীতে তা বন্ধ হয়ে ছাগল বলি দেওয়ার রীতি চালু হয়। ছবি: শশী ঘোষ
-
সন্তানলাভের আশায় এই মন্দিরে মহিলাদের সমাগমই বেশি। তাঁদের বিশ্বাস, কল্যানেশ্বরীতে পুজো দিলে মা কালি প্রসন্ন হবেন। ছবি: শশী ঘোষ
-
মন্দির তৈরির পিছনে এক দারুণ ইতিহাস রয়েছে। তৎকালীন সময়ে এই জায়গার রাজা হরিপদ গুপ্ত এই মন্দির তৈরি করেন। পরবর্তীতে পঞ্চকোটের রাজা এই মন্দিরের পুনর্নির্মাণ করেন। ছবি: শশী ঘোষ
-
পুরুলিয়া ঝাড়খণ্ড ছাড়াও কলকাতা থেকে অনেক মানুষ প্রতিদিনই অনেক ভক্ত এই মন্দিরে ভিড় করেন। সারাদিনই পুজো চলতে থাকে এই মন্দিরে। ছবি: শশী ঘোষ
-
কল্যানেশ্বরী মন্দির নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বিভিন্ন অদ্ভুত গল্পের প্রচলন রয়েছে। শোনা যায়, এক চুড়িওয়ালা জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাচ্চাকে বসে থাকতে দেখে। মেয়েটি তার চুড়ি কিনতে চায়। মেয়েটির কাছ থেকে টাকা চাইলে সে দেখিয়ে দেয় রাজবাড়ির রাজাকে। ছবি: শশী ঘোষ
-
আগের দিন রাতেই মা কালি সাক্ষাৎ রাজার স্বপ্নে এসে বলেন, তাঁর এক জোড়া চুড়ি চাই। সেই টাকা পরেরদিন চুড়িওয়ালা চাইতে এলে রাজা দিয়ে দেন। আগের দিনের স্বপ্ন ফলে যায়। ছবি: শশী ঘোষ
-
এই ঘটনার পরেও মা কালি রাজার স্বপ্নে অনেকবার এসেছিলেন। পরে একদিন বরাকর নদী থেকে এক জোড়া চুড়ি পরা হাত উঠে আসতে দেখা যায় এবং এখানে পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। যা এখনও রয়েছে। এই ঘটনার পরে রাজা বিশাল বড় এই মন্দির তৈরি করেন। ছবি: শশী ঘোষ
-
এখানে যে যা মানত করেছেন, সবই পেয়েছেন বলে দাবী ভক্তদের। ছবি: শশী ঘোষ
-
এক সময় নরবলি হত। এর পিছনেও রয়েছে এক রোমহর্ষক কাহিনী। ছবি: শশী ঘোষ
-
এক গরীব ব্রাহ্মণ এবং তাঁর পরিবার ভক্তিভরে পুজো করতেন। নিজের হাতে প্রসাদ খাওয়াতেন। ছবি: শশী ঘোষ
-
একদিন পুজো হওয়ার আগেই খাবার জোগাড় করতে মেয়েকে ঠাকুরের সামনে বসতে বলে বেরিয়ে পড়েন। দেবী অপ্রসন্ন হয়ে ব্রাহ্মণের মেয়েকে মেরে ফেলেন। পরে মা কালির অনুশোচনা হয়। ছবি: শশী ঘোষ
-
মা কালি আশীর্বাদ করে বলেন, এখন থেকে এই মন্দিরে যে এসে সন্তানের জন্যে প্রার্থনা করবে, তার সন্তান লাভ হবে। এর পাশাপাশি ব্রাহ্মণকে তাঁর মেয়ের প্রাণও ফিরিয়ে দেন। ছবি: শশী ঘোষ
-
প্রতি বছর কালীপূজোর সময় জাঁকজমক করে এই মন্দিরে পুজো হয়। এবং ভোগ বিতরণ চলে। বছরের আর পাঁচটা দিনের তুলনায় এই সময় ভক্তের সমাগম থাকে সবচেয়ে বেশি। ছবি: শশী ঘোষ
-
কল্যানেশ্বরী মন্দির নিয়ে ১৯৮২ সালে একটি বাংলা ছবিও হয়েছিল। ছবি: শশী ঘোষ
-
মাইথন ঘুরতে যাওয়ার পথে আপনিও চাইলে এক ফাঁকে ঘুরে যেতে পারেন আসানসোলের এই ঐতিহাসিক মন্দির। ছবি: শশী ঘোষ
