New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/08/Kolkata-Cover.jpg)
শুভ জন্মদিন, কল্লোলিনী তিলোত্তমা। আজ ২৪ অগাস্ট। ১৬৯০ সালে এই দিনেই কলকাতার মাটিতে পা রেখেছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলা জোব চার্নক। ছবি: শশী ঘোষ
শুভ জন্মদিন, কল্লোলিনী তিলোত্তমা। আজ ২৪ অগাস্ট। ১৬৯০ সালে এরকমই এক মেঘলা দিনে কলকাতার মাটিতে পা রেখেছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলা জোব চার্নক। সেই থেকে দিনটি পালিত হয়ে আসছে কলকাতার জন্মদিন হিসাবে। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চাকরি নিয়ে ১৬৫৬ সালে ২৬ বছর বয়সে ভারতে আসেন চার্নক। অবশ্য 'কলকাতার জন্মদিন' আদৌ কোনও একটা দিনকে বলা যায় কিনা, তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তবুও এই শহরকে নিয়ে মেতে ওঠার একটা দিন তো বটে। ছবি: শশী ঘোষ পলাশীর প্রান্তরে ১৭৫৭ সালে এদেশের স্বাধীনতার সূর্য ডুব দিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তার ছড়ানো আভায় লেগেছিল অগামী দিনের নতুন ইতিহাসের ছটা। সিরাজদৌল্লাকে পরাজিত করে, হত্যা করে রবার্ট ক্লাইভ সদর্পে এসে জাঁকিয়ে বসলেন কলকাতায়। ছবি: শশী ঘোষ তখন থেকেই বঙ্গদেশের রাজধানী আর মুর্শিদাবাদ নয়, হলো কলকাতা। গড়ে উঠতে শুরু করল তিলোত্তমা। ছবি: শশী ঘোষ ডিহি কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুর, মূলত এই তিনটি গ্রাম নিয়েই কলকাতার পত্তন হয় ১৬৯০ সালে। তখন থেকেই বঙ্গদেশের রাজধানী আর মুর্শিদাবাদ নয়, হলো কলকাতা। গড়ে উঠতে শুরু করল তিলোত্তমা। ছবি: শশী ঘোষ এর আগে অবধি এই গ্রামগুলির শাসনকর্তা ছিলেন মুঘল সম্রাটের অধীনস্থ বাংলার নবাবেরা। ছবি: শশী ঘোষ ১৬৯০ সালের ২৩ এপ্রিল এক আদেশনামায় মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব বার্ষিক তিন হাজার টাকা শুল্কের বিনিময়ে ইংরেজদের বাংলায় বাণিজ্যের অনুমতি দেন। ইব্রাহিম খাঁর আমন্ত্রণে জোব চার্নক ফিরে আসেন তাঁর পুরনো জায়গায়। সুতানূটিতে চার্নকের এই তৃতীয় পদার্পণের তারিখই ২৪ অগাস্ট। ছবি: শশী ঘোষ এরপর এখানেই ১৬৯০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় বাণিজ্য সনদ লাভ করে দুর্গবেষ্টিত বাণিজ্যকুঠি গড়ে তুলেছিল এই তিলোত্তমার বুকেই। ছবি: শশী ঘোষ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে এবং ব্রিটিশ রাজশক্তির প্রত্যক্ষ শাসনকালের প্রথম দিকে কলকাতা ছিল ভারতের ব্রিটিশ-অধিকৃত অংশের রাজধানী। ছবি: শশী ঘোষ পলাশির যুদ্ধে জিতে ইংরেজরা কলকাতাকেই গড়ে তুলল তাদের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে। সেই সূত্রেই অন্য জায়গা থেকে নানা মানুষ এখানে এসে বাণিজ্য করতে শুরু করেন। ছবি: শশী ঘোষ ১৭৫৭ সালে কলকাতার মালিকানা চলে যায় সিরাজদৌল্লার থেকে ইংরেজদের হাতে, ভারতে কুখ্যাত ইংরেজ শাসনকর্তা স্যার রবার্ট ক্লাইভ এর সাহায্যে। ছবি: শশী ঘোষ ১৭৭২ সালে তৎকালীন বড়লাট লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে সরিয়ে আনেন কলকাতায়। ছবি: শশী ঘোষ এতদিন শুধু বাণিজ্যিক গুরুত্ব ছিল কলকাতার। হেস্টিংসের এই সিদ্ধান্তে রাতারাতি কলকাতার রাজনৈতিক, প্রশাসনিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্বও বেড়ে যায়। ছবি: শশী ঘোষ পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে বাংলা তথা ভারতে যে নবজাগরণ শুরু হয়েছিল, তার কেন্দ্রবিন্দু ছিল কলকাতাই। ব্রিটিশ শাসনকালে কলকাতা কিছু গৌরবজনক ঘটনার সাক্ষী হয়। ছবি: শশী ঘোষ যেমন ১৮৩৫ সালে এশিয়ার প্রথম মেডিক্যাল কলেজ স্থাপিত হয় কলকাতাতেই। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তখন এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্ররা আসতেন। ছবি: শশী ঘোষ ১৯১১ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত ভারতবর্ষের রাজধানী ছিল কলকাতা। ছবি: শশী ঘোষ সেই থেকে এতগুলো বছর পেরিয়েও কলকাতা আজও আছে কলকাতাতেই। ছবি: শশী ঘোষ এই শহরের বড় বড় ইমারতের ইট, কাঠ, বালি, সিমেন্টের পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস। সিন্দুকে লুকানো স্মৃতি। ছবি: শশী ঘোষ ছবি: শশী ঘোষ কলকাতা ভালবাসতে জানে। তার জন্যেই এই শহরে রোজ ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। ছবি: শশী ঘোষ বনেদিয়ানার সঙ্গে আধুনিকতার ছন্দময় মেলবন্ধন ঘটেছে এই শহরে। ছবি: শশী ঘোষ এতগুলো বছর পেরিয়ে কলকাতা আজও চির সবুজ। জাত পাত ধর্ম সব ভুলে সবাইকে বুকে আগলে রেখেছে এই শহর। ভালোবাসার এই শহরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ছবি: শশী ঘোষ